বিমানে চড়তে হাজার হাজার মানুষের হাতাহাতি, চরম বিশৃঙ্খলায় মৃত্যু বাড়ছে
এক ভয়ংকর ছবি উঠে এল। বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বিমানে চড়ার জন্য কাতারে কাতারে মানুষ নিজেদের মধ্যে আপ্রাণ লড়াই চালাচ্ছেন।
কাতারে কাতারে মানুষ বিমানবন্দরে থিক থিক করছে। সকলেই যত দ্রুত সম্ভব কোনও বিমানে চড়ে দেশ ছাড়তে চাইছেন। সে অন্যত্র যে দেশে যেতে হয় যাবেন তাঁরা। কিন্তু এ দেশে আর নয়।
সর্বস্ব তো গেছেই, দেশে থাকলে প্রাণটাও যাওয়ার ভয়ে মরিয়া হয়ে উঠেছেন সকলে। পরিবার নিয়ে গত রবিবার থেকেই বিমানবন্দরে এসে হাজির হচ্ছিলেন আফগান সাধারণ পরিবারের মানুষজন।
এদিকে তাঁদের দেশের রাষ্ট্রদূত থেকে শুরু করে মার্কিন নাগরিকদের সুস্থ অবস্থায় দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে কাবুলের বিমানবন্দরে ৬ হাজারের ওপর মার্কিন সেনা নেমেছে। তারা বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব হাতে তুলে নিয়েছে।
সেই সুরক্ষা বলয়ে এসে কোনও বিমানে চড়াই ছিল আফগান অসহায় পরিবারগুলির একমাত্র লক্ষ্য। একটি বিমান উড়ে যাবে জানতে পেরে সেই বিমানের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন সকলে। বিমানে চড়তে শুরু হয় হাতাহাতি।
বিমানে চড়ার জন্য যে এমন হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কি হতে পারে তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। পরিস্থিতিই বুঝিয়ে দিচ্ছে কী চরম পরিস্থিতি না হলে ঘর, বাড়ি, দেশের মাটি ছেড়ে মানুষ এভাবে পালানোর কথা ভাবতে পারেন।
পরিস্থিতি ক্রমশ ঘোরাল হতে থাকায় অবস্থা নিয়ন্ত্রণে মার্কিন সেনার বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ সামনে এসেছে। গুলিতে অথবা পদপৃষ্ঠ হয়ে কমপক্ষে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
পরিস্থিতি এমনই যে টারম্যাকে পড়ে থাকা দেহগুলিকেও সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় কারও হাতে নেই। পরিস্থিতি বিবেচনা করে কোনও মানুষকে আর বিমানবন্দরের দিকে আসতে মানা করা হয়েছে।
বিমানবন্দর সিল করে দেওয়া হয়েছে। সব বিমান বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। তবু বিমানবন্দরেই কাতারে কাতারে মানুষ অপেক্ষায় রয়েছেন। যদি কোনও সুরাহা হয়। যদি তাঁদের কোনও দেশ দয়া করে বিমান পাঠিয়ে তুলে নিয়ে যায়। সেই অপেক্ষায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা