পাল্টা প্রতিরোধের মুখে তালিবান, তাদের পতাকা ছুঁড়ে ফেলে প্রতিবাদ
কোথাও আফগান সেনার দেখা নেই। গোটা দেশ তালিবানের দখলে। এই অবস্থাতেও নির্ভয়ে জোরদার প্রতিরোধ গড়ে তুলছেন আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষ।
দেশের মাটিকে তাঁরা রক্ষা করতে চান। দেশের জাতীয় পতাকাকে তাঁরা রক্ষা করতে চান। দেশের পতাকাই তাঁদের পরিচয়। তাই কোনও তালিবান পতাকা নয়।
আফগানিস্তানের মানুষ ঘর থেকে ভয় ঝেড়ে ফেলে নেমে আসছেন রাস্তায়। রুখে দাঁড়াচ্ছেন নৃশংস তালিবানদের সামনে। এটা জেনে যে তাদের এই সামনে এসে প্রতিরোধ তাঁদের প্রাণও কেড়ে নিতে পারে। হয়েছেও তাই।
১৯ অগাস্ট ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত পাওয়া ও স্বাধীনতা পাওয়ার জন্য আফগানিস্তানে ১৯ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়। এদিন সেই বিশেষ দিন পালন করতে কাবুলের রাস্তায় নামেন বহু সাধারণ মানুষ।
তাঁদের হাতে ছিল দেশের জাতীয় পতাকা। মুখে ছিল পতাকার পক্ষে স্লোগান। সব ভয় পিছনে ফেলে তালিবানের চোখে চোখ রেখে তাঁরা বুঝিয়ে দিলেন প্রতিরোধ এবার দানা বাঁধবে।
তালিবান এদিন এই জমায়েতে গুলিবর্ষণ করে। তাতে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়। কতজনের মৃত্যু হয়েছে তা অজানা। তবে মৃত্যু হয়েছে। হয়তো সাধারণ মানুষের এই স্পর্ধা তারা মেনে নিতে পারেনি।
তাতে অবশ্য দমানো যায়নি প্রতিরোধমুখী আম জনতাকে। কাবুল দখলে নেওয়ার পর সেখানে জাতীয় পতাকা নামিয়ে দিয়ে তালিবান তাদের সাদা পতাকা তুলে দিয়েছে।
এমনই একটি তালিবান পতাকা এদিন স্তম্ভে উঠে টেনে নামিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দেন এক আফগান নাগরিক। তারপর সেখানে টাঙিয়ে দেন দেশের জাতীয় পতাকা।
গত কয়েকদিনে দেশের মানুষ শুধু তালিবানের হাত থেকে বাড়ির মহিলাদের বাঁচাতে, নিজেদের বাঁচাতে ছুটে বেড়িয়েছেন আশ্রয়ের খোঁজে। দেশ ছেড়ে যে কোনও মূল্যে পালানোর চেষ্টা করেছেন।
কিন্তু সেই আম নাগরিক এবার ঘুরে দাঁড়াল। যা তালিবানকেও স্বস্তিতে থাকতে দেবে না। এদিকে তালিবান পতাকা নামিয়ে নেওয়ার ঘটনাকে সমর্থন জানিয়েছেন আফগানিস্তানের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালেহ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা