সব দখলে, কিন্তু পঞ্জশিরে দাঁতও ফোটাতে পারছেনা তালিবান
গোটা দেশটাই এখন তাদের দখলে চলে গেছে। কিন্তু সেখানেও একটা অসম্পূর্ণতা রয়েই গেছে। কারণ পঞ্জশির দখল দূরে থাক, সেখানে দাঁতও ফোটাতে পারছে না তালিবান।
আফগানিস্তানে নিজেদের আধিপত্য পুরো কায়েম করতে তালিবানের সাকুল্যে ৩ মাস লেগেছে। এখন তারাই কার্যত আফগানিস্তানের শাসকে পরিণত হয়েছে।
তালিবান সাফ জানিয়ে দিয়েছে দেশে কোনও গণতন্ত্র নয়, মানা হবে শরিয়ত আইন। আফগানিস্তানের জাতীয় পতাকা নয়, দেশে এখন উড়ছে তালিবানের পতাকা।
এভাবে আফগানিস্তান দখলের পরও কিন্তু তালিবানের জন্য একটা খিঁচ থেকেই গেছে। সব দখল করেও পঞ্জশির উপত্যকা কিছুতেই নিজেদের দখলে আনতে পারছে না তারা।
পঞ্জশির দখল শক্ত কাজ। অবশ্যই তার অবস্থানের কারণে। কিন্তু যে তালিবান দেশের সেনাকেই কোণঠাসা করে দিল তাদের জন্য পঞ্জশির দখল সম্ভব হচ্ছেনা কেন?
কারণটা আফগান সেনার সেখানে ফিরে আসা আর আফগানিস্তানের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালেহ-র সামনে থেকে নেতৃত্ব।
যেখানে কাবুল দখল হচ্ছে দেখে দেশ থেকে সৌদি আরবে পালিয়েছেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি, সেখানে ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালেহ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি দেশেই থাকবেন। দেশের প্রেসিডেন্টের অবর্তমানে তিনিই এখন দেখের প্রেসিডেন্ট।
আর তিনি কোনও মূল্যেই তালিবানের কাছে নতি স্বীকার করবেননা। তিনিই পঞ্জশিরে নিজে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তালিবান রোখার কাজে।
তাঁকে পেয়ে পঞ্জশিরে ফিরে আসছেন পালিয়ে যাওয়া আফগান সেনারাও। যাঁরা মনেপ্রাণে তালিবানকে হঠাতে প্রস্তুত। ফলে তালিবানের জন্য কিন্তু পঞ্জশির কেবল প্রতিবাদই নয়, চরম প্রতিরোধ। যা হয়তো একদিন তালিবানের রাতের ঘুম কেড়ে নিতে পারে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা