ধূধূ মরুভূমি হেঁটে পার করছেন কাতারে কাতারে মানুষ, লক্ষ্য হাজার মাইল
চারিদিকে শুধু বালি আর বালি। আর আছে বিশাল বিশাল পাহাড়। শুকনো প্রান্তর। তার ওপর দিয়েই হেঁটে চলেছেন তাঁরা। দেশ ছেড়ে বহু বহু দূরে।
পিছনে পড়ে রইল ভিটেমাটি। পড়ে রইল নিজের দেশ। পড়ে রইল বহু সুখ দুঃখের স্মৃতি। সেসব পিছনে ফেলে তাঁরা এগিয়ে চলেছেন।
পরিবার নিয়ে এগিয়ে চলেছেন। স্ত্রী, শিশু, বৃদ্ধ, জোয়ান সকলেই হেঁটে চলেছেন সামনের দিকে। পায়ের তলায় তপ্ত বালির প্রান্তর।
কোথাও পাথুরে শুষ্ক জমি। কোথাও পাহাড়ের চড়াই উৎরাই। কঠিনতম পথ ধরে তাঁরা এগিয়ে চলেছেন। হয় গন্তব্যে পৌঁছবেন। নয়তো পথেই মৃত্যু।
তবু আশার একটা আলো তো আছে। তালিবানের মাঝে সে আশাটুকুও নেই। যে কোনও সময় মৃত্যু হতে পারে তাঁদের। তালিবানের হাতে প্রাণ যেতে পারে।
বহু আফগান নাগরিক দেশ ছেড়ে পালাতে চাইছেন এই কঠিন পথে। যা পাকিস্তান, ইরান হয়ে চলেছে ইউরোপের দিকে।
সেই পথে তাঁরা প্রথমে পৌঁছতে চাইছেন তুরস্কে। তারপর সেখান থেকে ইউরোপের কোনও দেশে পৌঁছে খুঁজতে চাইছেন জীবনরক্ষার খড়কুটো।
আফগানিস্তান থেকে ইরান হয়ে এই পথ ১ হাজার মাইলেরও বেশি। সেই পথ ধরেই এগিয়ে চলেছেন কাতারে কাতারে মানুষ। গুনে শেষ করা যাবেনা তাঁদের সংখ্যা।
সকলেই পালাচ্ছেন প্রাণ হাতে করে। ক্ষুধা, তৃষ্ণা তুচ্ছ করে কেবল প্রাণ রক্ষা করতে এই এগিয়ে চলা। এই মরণপণ হাঁটাও কবুল। তবু তালিবানের রাজ্যে এক মুহুর্তও নয়।
এই কথাটাই যেন মানুষগুলোর ক্লান্ত শ্রান্ত মুখগুলো কোরাসের সুরে বলে চলেছে। আফগানিস্তানের নিমরোজ নামে জায়গা থেকে এই হাঁটা শুরু করছেন সকলে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা