মেয়েদের খেলার অধিকার কেড়ে নিল নয়া ফতোয়া
খেলতে পারবেনা মেয়েরা। খেলায় মেয়েদের দেহের কিছু অংশ দেখা যাবেই। অন্তত মুখটা। যা একেবারেই মেনে নিচ্ছে না নয়া ফতোয়া। ফলে বন্ধ মেয়েদের খেলাধুলোর অধিকার।
মেয়েদের অধিকার যেন সুনিশ্চিত হয়। এমনটাই আফগানিস্তান দখল করা তালিবানকে জানিয়েছিল রাষ্ট্রসংঘ। এমনটা বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের বক্তব্য ছিল। কিন্তু তালিবান তাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তৈরি করেই মেয়েদের থেকে কেড়ে নিল খেলাধুলোর অধিকার।
শরিয়ত আইন মেনেই এখন আফগানিস্তান চলবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে তারা। তালিবানের তরফে জানানো হয়েছে ক্রিকেট সহ এমন অনেক খেলা রয়েছে যা খেলতে গেলে মেয়েদের শরীরের কিছুটা দেখা যেতে বাধ্য। আর তা মেনে নেওয়া হবে না।
আফগানিস্তানে ক্রিকেট যথেষ্ট জনপ্রিয় খেলা। সেখানে এতদিন মেয়েরাও ক্রিকেট খেলতেন। সেইসঙ্গে অনেক খেলায় তাঁরা অংশ নিতেন। কিন্তু তালিবান ক্ষমতা দখলের পর সে অধিকার আর তাঁদের রইল না।
আগামী দিনে আফগানিস্তানে পুরুষদেরই কেবল খেলায় অংশ নিতে দেখা যাবে। মেয়েদের ক্রমশ পর্দার আড়ালে ঠেলে দেওয়ার এই ফতোয়া মেনে নিতে পারেনি অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ড।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া সাফ জানিয়ে দিয়েছে আফগানিস্তানে মেয়েদের ক্রিকেট খেলার অধিকার কেড়ে নেওয়া হলে তারা আসন্ন পুরুষদের অস্ট্রেলিয়া আফগানিস্তান ক্রিকেট সিরিজে আর অংশ নেবে না। প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়াবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়া আরও জানিয়েছে, আফগান পুরুষ অ্যাথলিটরা অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে যেতে পারবেন। তবে তালিবান পতাকার তলায় নয়।
এমনকি মেয়েদের খেলতে না দেওয়ার এই ফতোয়া নিয়ে আইসিসি পর্যন্ত ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে। বিষয়টি নিয়ে তাদের আগামী বৈঠকে আলোচনা হবে। সেক্ষেত্রে আফগানিস্তানের পুরুষ ক্রিকেট দলের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা