শীত আসছে অথচ খাবার ও কাজের অভাবে সিঁটিয়ে আছে আফগানিস্তান
শীত আসতে চলেছে। আফগানিস্তানে প্রবল ঠান্ডা পড়ে। তার মধ্যে তালিবান দখলে থাকা আফগানিস্তানে খাবার নেই। নেই কাজের সুযোগ। ফলে আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ।
তালিবান আফগানিস্তান দখলে নেওয়ার পর বহু আফগান নাগরিক দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। অন্য দেশে শরণার্থী হয়ে হাজির হয়েছেন পরিবার নিয়ে।
অনেকে আবার যেতে পারেননি। অনেকে ভিটে ছেড়ে যাওয়ায় মনের সমর্থন পাননি। ফলে তাঁরা আফগানিস্তানেই থেকে গেছেন। কিন্তু তালিবান দখলে থাকা আফগানিস্তানের অর্থনীতি কার্যত তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ার অপেক্ষায়।
এখনও অর্থনীতি দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। তারমধ্যে নেই খাবারের নিশ্চয়তা। ক্রমশ খাদ্যের ভাণ্ডার ফুরোচ্ছে। যদিও কিছু দেশ থেকে তাদের জন্য ত্রাণ যাচ্ছে। কিন্তু তা দিয়ে কত দিন?
খাবারের দাম যোগানের অপ্রতুলতায় বেড়েই চলেছে। মানুষের হাতে ক্রয় করার মত অর্থ কমছে। তারমধ্যে কাজ করে যে কিছু রোজগারের মুখ দেখবেন তারও নিশ্চয়তা কমছে। কারণ কাজের সুযোগই কমছে দেশে। এরমধ্যে চোখ রাঙাচ্ছে শীতের আগমন বার্তা।
আফগানিস্তানে শীত একবার পড়ে গেলে যে পরিস্থিতি চরম আকার নেবে তা মেনে নিচ্ছে রাষ্ট্রসংঘও। এই নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের তরফে চিন্তাও ব্যক্ত করা হয়েছে।
খাবারের নিশ্চয়তা নেই, কাজের নিশ্চয়তা নেই তার মধ্যে শীত আসছে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ আফগান নাগরিকদের জীবন যে কোন পথে যেতে চলেছে তাই পরিস্কার নয়।
আফগান নাগরিকরাও বুঝতে পারছেন না তাঁরা কীভাবে তাঁদের পরিবারকে সুস্থভাবে বাঁচিয়ে রাখবেন। এখনই যা পরিস্থিতি তাতে আফগানিস্তানের ৯৩ শতাংশ মানুষই আধপেটা খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন।
অধিকাংশ পরিবার সারাদিনে পরিবারের যে খাবার লাগত তার পরিমাণ অনেকটা কমিয়ে দিয়েছে। প্রতি ৪টি পরিবারের মধ্যে ৩টি পরিবারই ধার দেনা করে খাবারের ব্যবস্থা করছে।
প্রশ্ন হল এভাবে তাঁরা কতদিন চালাতে পারবেন? আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষের জীবন এখন কোন পথে সেটাই পরিস্কার নয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা