বিয়ের টোপ দিয়ে কমপক্ষে ১৩০ মহিলাকে বিক্রি, গ্রেফতার ঠগ
বিয়ের টোপ দিয়ে কমপক্ষে ১৩০ জন মহিলাকে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। টোপ দেওয়ার জন্য তার মূল লক্ষ্য ছিল দরিদ্র পরিবার।
একেই গোটা দেশটা এখন দারিদ্রে ক্রমশ ডুবে চলেছে। অর্থ উপার্জন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। দিনকে দিন পরিবার প্রতিপালন ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে। এই সুযোগকেই কাজে লাগাল এক নারী পাচারকারী।
মহিলাদের পরিবার থেকে নিয়ে আসার জন্য টোপ দিত সে। তার মিষ্টি কথায় আর ভরসা দেওয়ার ধরনে অনেকেই মোহিত হতেন। তার হাতে পরিবারের তরুণী মেয়েকে তুলে দিতে দ্বিধা করতেননা।
এই লোকটির মূল লক্ষ্য ছিল দরিদ্র পরিবারগুলি। যেখানে কার্যত নুন আনতে পান্তা ফুরোয় দশা। সেখানে তাদের বাড়ির অবিবাহিত মেয়েকে ধনী পরিবার ও ভাল পাত্র দেখে বিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রথমে কথায় বিমোহিত করত সে। তারপর বাড়ির মেয়েকে নিয়ে চলে যেত অন্য প্রদেশে। সেখানে এরপর তাদের বিক্রি করে দিত। ক্রীতদাসীর জীবন উপহার দিত তাদের।
এভাবে কমপক্ষে ১৩০ জন মহিলাকে বিক্রি করে দিয়েছে ওই ব্যক্তি। অবশেষে তাকে গ্রেফতার করল তালিবান প্রশাসন। আফগানিস্তানের উত্তর জাজিয়ান প্রদেশ থেকে তাকে গ্রেফতার করে তালিবান প্রভিন্সিয়াল পুলিশ।
প্রসঙ্গত আফগানিস্তানে তালিবান ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তান এখন নারী পাচারকারীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। বহু পুরুষকেও কার্যত ক্রীতদাসে পরিণত করে পাচার করে দেওয়া হচ্ছে।
আফগানিস্তানের সীমানা এখন এতটাই উন্মুক্ত যে সেখান দিয়ে এই মানব পাচার চুটিয়ে চলছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে জানা যাচ্ছে। আফগানিস্তানের দারিদ্র বৃদ্ধিকেই এই পাচারকারীরা তাদের হাতিয়ার করার চেষ্টা করছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা