টাকা দেওয়ার পরও পণবন্দি চিকিৎসককে হত্যা করল অপহরণকারীরা
চিকিৎসককে পণবন্দি করার পর অপহরণকারীরা মুক্তিপণ দাবি করে। সেই অর্থ তাদের মিটিয়েও দেয় চিকিৎসকের পরিবার। তারপরেও কিন্তু চিকিৎসককে মুক্তি দিল না তারা।
বিখ্যাত এক মনোবিদকে হত্যা করল অপহরণকারীরা। তাঁকে গত সেপ্টেম্বর মাসে অপহরণ করা হয়েছিল। বন্দুকধারী কয়েকজন এই অপহরণ ঘটায়। তারপর থেকে অনেক খোঁজার চেষ্টা হয়েছে ওই মনোবিদকে।
মনোবিদ নাদের আলেমির মেয়ে জানিয়েছেন, অপহরণকারীদের চাহিদামত তাঁরা সাড়ে ৩ লক্ষ ডলার মুক্তিপণও দিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই মুক্তিপণের অর্থ পাওয়ার পরও অপহরণকারীরা তাঁর বাবার ওপর অত্যাচার চালায়। তারপর তাঁকে হত্যা করে।
মৃত্যুর আগে যে তাঁর ওপর অত্যাচার হয়েছিল তা নিশ্চিত করেছেন মনোবিদের মেয়ে। তিনি আরও বলেন, অপহরণকারীরা তাঁদের জানিয়েছিল যে তারা মুক্তিপণের টাকা পেয়ে গেলেই তাঁর বাবাকে ছেড়ে দেবে। কিন্তু পরদিন তাঁকে ছেড়ে না দিয়ে তাঁকে হত্যা করে ফেলে দিয়ে যায়।
ঘটনাটি ঘটেছে আফগানিস্তানে। আফগানিস্তানের উত্তরাংশে মাজার-এ-শরিফ শহরের বিখ্যাত চিকিৎসক ছিলেন এই নাদের আলেমি। ৬৬ বছর বয়সের এই মানুষটি সে দেশে প্রথম কোনও মনোরোগ চিকিৎসার হাসপাতাল তৈরি করেছিলেন।
অপহৃত হওয়ার মাস খানেক আগে থেকেই আলেমিকে হুমকি ফোন করা হচ্ছিল বলে পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে। যেদিন তাঁকে অপহরণ করা হয় সেদিন তিনি হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় তাঁর গাড়ি দাঁড় করিয়ে তাঁকে অপহরণ করা হয়।
অপহরণকারীরা মুক্তিপণ হিসাবে ৮ লক্ষ ডলার দাবি করেছিল। বাড়ি, গাড়ি, হাসপাতাল বেচে ওই টাকা জোগাড় করার পরামর্শ দিয়েছিল তারা।
তালিবান আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর দেশের অর্থনৈতিক যা পরিস্থিতি তাতে কেউ অত অর্থ দিয়ে হাসপাতাল বা বাড়ি কিনবে না বলে জানায় পরিবার।
আলেমির পরিবার গাড়ি ও সব গয়না বেচে সাড়ে ৩ লক্ষ ডলার জোগাড় করে অপহরণকারীদের দেয়। তারপরও কিন্তু জীবিত অবস্থায় আলেমিকে ফেরত পেলেন না তাঁর পরিজনরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা