প্রবল তুষারপাত কেড়ে নিল ১১টি প্রাণ
প্রবল তুষারপাত হচ্ছে নানা প্রান্তে। ভরা শীতে পাহাড়ি অঞ্চলে তুষারপাত নতুন কিছু নয়। সেই তুষারপাতই কেড়ে নিল ১১ জনের প্রাণ।
প্রবল তুষারপাত তো হচ্ছেই। সেইসঙ্গে অনেক জায়গায় তুষারধসও হচ্ছে। হচ্ছে বন্যাও। পাহাড়ি এলাকায় যেখানে তুষারপাত হচ্ছে, সেখানে সমতলে হচ্ছে বৃষ্টি। এই প্রতিকূল আবহাওয়ায় মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষছেন ২৩ জন।
দেশটির ৯০ শতাংশ এলাকাতেই এখন তুষারপাত ও বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে জনজীবন আরও কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়েছে। এমনিতেই আর্থিক দিক থেকে মুখ থুবড়ে পড়েছে আফগান অর্থনীতি। তার মধ্যে আফগানিস্তানে শীতকালের এই সময়টা স্থানীয় মানুষের জন্য কঠিন হয়।
কারণ দেশের প্রায় সর্বত্রই তুষারপাত বা বৃষ্টি হয়। চারধার তুষারে সাদা হয়ে যায়। এই সময় এমনিতেই কঠিন হয়। তার ওপর এবার তালিবান শাসনে আসা আফগানিস্তান চরম আর্থিক সংকটে দিন কাটাচ্ছে।
তারমধ্যে তুষারপাত, তুষারধসে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। বহু মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু এখনও শীতের অনেকগুলো দিন কাটানো বাকি। তাই পরিস্থিতি কোথায় পৌঁছবে তা এখনও পরিস্কার নয়।
হেলমন্দ, নিমরোজ, ফারাহ, নানগরহার, কান্দাহার, জজান, তাখার এবং কাবুল থেকে মৃত্যুর খবর এসেছে। বহু মানুষ দেশে বন্যা কবলিত। অনেক দুর্গম এলাকায় বন্যায় আটকে পড়েছেন মানুষজন। তাঁদের উদ্ধার করার চেষ্টা চালাচ্ছে আফগানিস্তানের তালিবান সরকার।
বহু সড়ক পথের বরফ পড়ে সেসব রাস্তা স্তব্ধ হয়ে গেছে। রাস্তার ওপর বিশাল বরফের স্তূপ যান চলাচল স্তব্ধ করে দিয়েছে, স্তব্ধ করে দিয়েছে যোগাযোগ। এমনকি তুষারপাতের জেরে কাবুল বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা পর্যন্ত বিঘ্নিত হচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা