৩০০টি প্রাণ কেড়ে নিল তীব্র ভূমিকম্প, ধ্বংসস্তূপে কত দেহ লুকিয়ে হিসেব নেই
এমন ভূমিকম্প হালফিলে দেখা যায়নি। যা এক মুহুর্তে কেড়ে নিল ৩০০টির ওপর প্রাণ। এখনও ধ্বংসস্তূপের তলায় কত দেহ আটকে তার হিসেব নেই।
প্রবল কম্পনে ধ্বংস হয়ে গেল মাইলের পর মাইল এলাকা। এখনও ৩০০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ এখনও পাহাড়ি এলাকায় থাকা গ্রামগুলিতে পৌঁছনোই সম্ভব হয়নি। সেখানে উদ্ধারকাজ শুরু হলে মৃতের সংখ্যা কোথায় দাঁড়াবে তা পরিস্কার নয়।
এদিন যে ভূমিকম্প আফগানিস্তানকে কাঁপিয়ে দিয়েছে তার প্রভাব পড়েছে ভারত ও পাকিস্তানেও। সেখানেও অনেক জায়গায় কম্পন অনুভূত হয়েছে।
আফগান শহর খোস্ত থেকে ৪৪ কিলোমিটার দূরে পাকতিকা প্রদেশ ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্র। এখানে কার্যত একের পর এক লোকালয় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সিংহভাগ বাড়ি আস্ত নেই। এছাড়া ভূমিকম্পের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে বারমাল, জিরুক, নাকা ও গায়া প্রদেশে।
ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.১ এবং এই কম্পন দীর্ঘ সময় স্থায়ী হয়। বেশি সময় ধরে কম্পন চলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এতটা ভয়ংকর জায়গায় পৌঁছেছে।
প্রায় আড়াইশোর ওপর মানুষের মৃত্যু হয়েছে শুধু পাকতিকা প্রদেশেই। ভূমিকম্পের হাত ধরে অনেক পাহাড়ি জায়গায় ধস নেমেছে। ফলে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের অবস্থা শোচনীয়।
আফগানিস্তানে এখন তালিবান পরিচালিত সরকার। একেই গোটা দেশ আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত। তার মধ্যে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ সেখানকার মানুষের পরিস্থিতি ভয়াবহ করে তুলেছে।
বহু মানুষ ভূমিকম্পের জেরে নানাভাবে আহত হয়েছেন। তালিবান সরকারের তরফে অবশ্য দুর্গত এলাকায় সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মীদের দ্রুত পৌঁছতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যদিও বিধ্বস্ত এলাকার স্থানীয় মানুষজনের দাবি সরকারের তরফ থেকে কোনও সাহায্যই মিলছে না। ভূমিকম্পের জেরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বা মৃতের সংখ্যা এখনও পরিস্কার ভাবে বোঝা যাচ্ছে না। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা