চাকরিটা পুরুষ কোনও পরিজনকে দিয়ে দিতে হবে, তালিবানি ফতোয়া পেলেন মহিলাকর্মীরা
তিনি চাকরি পেয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু এখন আর সে চাকরি করতে পারবেননা। তাঁর চাকরি তাঁকে তুলে দিতে হবে পরিবারের কোনও পুরুষের হাতে। এল ফতোয়া।
মহিলারা এখন কোনও অংশে পিছিয়ে নেই। চাকরির ক্ষেত্রেও তাঁরা নিজের যোগ্যতায় বিভিন্ন পদে বসছেন। কাজ করছেন পুরুষদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। কিন্তু মহিলাদের ফের বাড়িতে পর্দানশীন করতে কোনও পদক্ষেপ ছাড়ছে না তালিবান।
এবার আফগানিস্তানের অর্থমন্ত্রকে কর্মরত মহিলাদের ফোন করে জানানো হয়েছে তাঁরা যেন আর অফিস না আসেন। বরং তাঁদের চাকরিটা তাঁদেরই কোনও পুরুষ সদস্যকে দিয়ে দিতে হবে।
তিনি পরিবারের যে পুরুষকে তাঁর চাকরি দিতে চাইবেন তাঁকেই নিয়োগ করা হবে। তবে মহিলারা আর এই চাকরি করতে পারবেননা। ৬০ জন মহিলাকর্মীকে ফোন করে কার্যত ফতোয়া জারি করেছে তালিবান।
আফগানিস্তানে এখন তালিবান সরকার। সেখানে তালিবানি ফতোয়া বিভিন্ন সময়ে লাগু হচ্ছে। মহিলাদের যতটা সম্ভব পর্দানশীন করে রাখার উদ্যোগে তালিবান যে কতটা মরিয়া তা এই ধরনের ফতোয়া থেকে পরিস্কার।
এটা এখনও পরিস্কার নয় যে সরকারি অন্য কোনও দফতরে কর্মরত মহিলাদের কাছেও একই ফোন গেছে কিনা। তবে অর্থমন্ত্রকের সব মহিলাকর্মী এই ফোন পেয়েছেন।
নিজেদের যোগ্যতায় নিজের পায়ে দাঁড়ানো ওই মহিলারা কিছুতেই এই ফতোয়া মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না। কিন্তু তাঁদের বাড়িতেই থাকতে বলা হয়েছে। যা না মানার ফল কি হতে পারে তা মহিলাকর্মীদের কাছে হয়তো অনুমেয়। ফলে তাঁরা কার্যত দাঁতে দাঁত চেপে নিজের অর্জন করা চাকরি পরিবারের কোনও পুরুষ সদস্যের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
তালিবান অবশ্য তাদের কারণ হিসাবে জানিয়েছে, এখন সরকারি দফতরে কাজের চাপ বেড়েছে। মহিলাদের পক্ষে ওই চাপ নেওয়া সম্ভব নয়। তাই ওই সব পদে তারা পুরুষকর্মী চাইছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা