শুক্রবার ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা। তাই সকালেই হাজির হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন পড়ুয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ প্রান্তের দরজার কাছে অপেক্ষা করছিলেন তাঁরা। ঘড়িতে তখন স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ১০ মিনিট। এমন সময় সেখানে এসে দাঁড়ায় একটি গাড়ি। গাড়িতে যে বিস্ফোরক বোঝাই করা আছে তা কারও অনুমেয় নয়। এদিকে গাড়িটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজার সামনে এসে দাঁড়ানোর পরই গাড়ির চালকের আসনে থাকা ব্যক্তি ওই বিস্ফোরক ফাটিয়ে দেয়। তীব্র বিস্ফোরণের কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা।
চারিদিকে তখন বারুদের গন্ধ। বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের কাছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ুয়াদের দেহ। ছিন্নভিন্ন অবস্থা। অনেকেই আশপাশে কাতরাচ্ছেন যন্ত্রণায়। কারও অঙ্গহানি হয়েছে। কারও দেহ রক্তে ভেসে যাচ্ছে। ভোরের আকাশ তখন ভারী হয়ে গেছে। কালো ধোঁয়া কুণ্ডলী পাকিয়ে উঠছে আকাশে। চারিদিকে শুধু আর্তনাদ। এই ঘটনায় ৯ জনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। ৩৩ জন আহতকে হাসপাতাল ভর্তি করা হয়।
শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজায়। মৃত ৯ জনের মধ্যে ১ জন পুলিশকর্মীও রয়েছেন। পড়ুয়া বেশি। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা ধ্বংস হয়ে গেছে। কাছে দাঁড়ানো ২ গাড়ি পুড়ে গেছে। এদিকে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের কাছে আগেই খবর ছিল যে একটি গাড়ি বিস্ফোরক বোঝাই করে শহরে প্রবেশ করেছে। পুলিশ তখনই চারিদিকে তন্নতন্ন করে খোঁজ শুরু করে দেয়। পুলিশ খুঁজছে এটা টের পেয়ে সময় নষ্ট না করে ধরা পড়ার আগেই তাড়াহুড়ো করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছেই বিস্ফোরক ফাটিয়ে দেয় গাড়ির চালক। আসলে বিশ্ববিদ্যালয় তার টার্গেট ছিল না বলেই মনে করছে পুলিশ। কোনও সংগঠন এই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা