তখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা খোলা হয়নি। ফলে সেখানে আসা কর্মী থেকে বাকিরা দরজার বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। সঠিক সময়েই খুলে যাবে দরজা। ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন তাঁরা। কিন্তু সেই প্রবেশ অধরাই রয়ে গেল। কারও জায়গা হল মর্গে, কারও হাসপাতালে। জঙ্গিদের বিস্ফোরক বোঝাই গাড়িটা ফাটলো তাঁদের কাছেই। আশপাশের সকলেই ছিটকে পড়লেন এদিক ওদিক। যে কটি গাড়ি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল সেগুলিতেও আগুন ধরে যায় বিস্ফোরণের পর।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় ঘটনাটি ঘটেছে কাবুলের একটি সেনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে। ৬ জনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। ১২ জন গুরুতর আহত। এঁদের মধ্যে সেনাকর্মী ও সাধারণ মানুষ রয়েছেন। বিস্ফোরণের তীব্রতায় অনেক জায়গায় জানালার কাচ পর্যন্ত ফেটে যায়। মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ঘটনার পরই পুলিশ গোটা এলাকা ঘিরে নেয়।
এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় দায় কোনও সংগঠন স্বীকার করেনি। তবে এই বিশ্ববিদ্যালয়েই গত বছর মে মাসে এক আত্মঘাতী জঙ্গি হানা হয়। সেই ঘটনার দায় স্বীকার করেছিল আইএস। এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনই এদিনের বিস্ফোরণের পিছনে রয়েছে, নাকি এটা তালিবানের কাজ তা এখনও পরিস্কার নয় পুলিশের কাছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা