
আগুনের গোলার মতো তীব্র গতিতে ধেয়ে চলার ক্ষমতা তার। ১৯ মিনিটে ৫০০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যে নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম। সামনে যে প্রতিপক্ষই থাকুক, তাকে ধ্বংস করার মত যথেষ্ট শক্তি ধরে সে। তাই তার নাম ‘অগ্নি’। বৃহস্পতিবার ‘অগ্নি’ সিরিজের সেই পঞ্চম সদস্যের চতুর্থ তথা শেষ পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ সফল হল।
সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘অগ্নি-৫’-এর তৃতীয় উৎক্ষেপণটি হয়েছিল ২০১৭-র ডিসেম্বরে। পূর্বতন হুইলার দ্বীপ যা বর্তমানে আবদুল কালাম দ্বীপ নামে পরিচিত, সেখান থেকে সেবার লক্ষ্যভেদে উড়ান দিয়েছিল ১ হাজার ৫০০ কেজি পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রটি। সেবারেও বিজ্ঞানীদের হতাশ করেনি ‘অগ্নি-৫’। এবারেও চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষায় ‘ফুল মার্কস’ পেয়ে পাশ করল অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রটি।
বৃহস্পতিবার সকালে ওড়িশার পূর্ব উপকূলের আব্দুল কালাম দ্বীপ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে উড়ান দেয় ‘অগ্নি-৫’। ভারতের ‘মিসাইল ম্যান’-এর নামাঙ্কিত দ্বীপ থেকে এদিনের পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণও হয় ৫০ টনের ‘অগ্নি-৫’। নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হানে এই ক্ষেপণাস্ত্র।
আমেরিকা, রাশিয়া, চিন, ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড, এই ৫ দেশের হাতেই ছিল এত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। ষষ্ঠ দেশ হিসেবে অগ্নি-৫ সেদিক থেকে নিঃসন্দেহে ভারতের অস্ত্রভান্ডারে নতুন সংযোজিত পালক। যা ভারতকে বিশ্বের বাকি ৫ দেশের পাশে এক আসনে বসিয়ে দিল।