কথাটা বলার আগে একটু সময় নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী। বোঝাই গেল কথাটা রাজ্যসভায় বলার আগে তিনি নিজেকে একটু শক্ত করে নিলেন। তারপর সাফ জানালেন, হয় এয়ার ইন্ডিয়া বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হবে। আর সেই চেষ্টা বিফল হলে বন্ধ করে দেওয়া হবে সংস্থা। মন্ত্রীর এই ঘোষণার পর যাঁরা সবচেয়ে বেশি আতঙ্কিত সেই এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মীদের আশ্বস্ত করে মন্ত্রী বলেন, কর্মীদের এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। তাঁদের সঙ্গে একটি সহায়ক ডিল করবে সরকার।
কেন্দ্রীয় সরকার আগামী ৩১ মার্চ সময়সীমা ধার্য করেছে এয়ার ইন্ডিয়ার বেসরকারিকরণ পদ্ধতি সম্পূর্ণ করার জন্য। এই সময়সীমার মধ্যে যদি তা কোনও সংস্থা কিনতে পারল ভাল। নাহলে বন্ধ হয়ে যাবে ভারতের একমাত্র সরকারি উড়ান পরিষেবা এয়ার ইন্ডিয়া। এটা এদিন কার্যত সংসদের উচ্চকক্ষে স্পষ্ট করে দিয়েছন মন্ত্রী। ফলে এ নিয়ে আর কিন্তু, তবুও-র অবকাশ রইল না।
এয়ার ইন্ডিয়াকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা ২০১৮ সাল থেকেই চালাচ্ছে কেন্দ্র। ২০১৮ সালেই এয়ার ইন্ডিয়ার ৭৬ শতাংশ শেয়ার বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার জন্য সংস্থাদের আহ্বান জানায় কেন্দ্র। কিন্তু সেই আহ্বানে একটিও বেসরকারি সংস্থা উৎসাহ দেখায়নি। ফলে এয়ার ইন্ডিয়া সরকারের হাতেই থেকে যায়। প্রসঙ্গত এয়ার ইন্ডিয়ার আর্থিক দুরবস্থা আজকের নয়। অনেকদিন ধরেই ধুঁকছে সরকারি এই উড়ান পরিষেবা। ইউপিএ ২ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন ৩০ হাজার কোটি টাকার আর্থিক সাহায্য করে এয়ার ইন্ডিয়ার পুনরুজ্জীবনে। কিন্তু তাতেও যে কাজের কাজ কিছু হয়নি তা বর্তমান হাল দেখলেই পরিস্কার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা