আতঙ্কের সলতে-তে আগুন ধরিয়ে কেটে পড়ল ইঁদুর বাবাজি। এমন গা ঢাকা দিল যে তার আর কোনও খোঁজই মিলল না। কত খোঁজাখুঁজি হল। তল্লাশি হল। বিমানবন্দরের কত কর্মী তন্নতন্ন করে খুঁজে ফেললেন। কিন্তু তার আর দেখা মিলল না। কোথাও ভ্যানিস হয়ে গেল নাকি! নাঃ, তার উত্তর এখনও কেউ দিতে পারেননি। মাঝখান থেকে যা হল তা অভিপ্রেত নয়। অনেক যাত্রী বিমানবন্দরেই চেঁচামেচি শুরু করলেন। যাত্রীদের শান্ত করতে ধুঁকতে থাকা এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মীদের হিমসিম খেতে হল।
তুলকালামটি ঘটেছে বারাণসীর লাল বাহাদুর শাস্ত্রী বিমানবন্দরে। এখান থেকেই এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটির উড়ে যাওয়ার কথা দেরাদুনে। যাত্রীদের অনেকেই বিমানে উঠে পড়েছেন। আর সামান্য সময়ের মধ্যেই বিমান উড়ে যাবে। এমন সময় এক যাত্রীর নজরে আসে বিমানের মধ্যে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে একটি ইঁদুর। বিমানে ইঁদুর! প্রায় আঁতকে ওঠেন তিনি। তারপর অন্য কয়েকজনেরও ইঁদুরটি নজরে পড়ে।
খবর যায় বিমানকর্মীদের কাছে। বিমানে ইঁদুর থাকা অবস্থায় তো বিমান নিয়ে উড়ে যাওয়া সম্ভব নয়। যাত্রীদের সুরক্ষাই বা কোথায়! যাত্রীরাও ততক্ষণে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। যদি কামড়ে দেয়! বিমান সংস্থার তরফে দ্রুত যাত্রীদের বিমান থেকে নামিয়ে আনা হয়। তারপর শুরু হয় বিমানের কোণায় কোণায় তল্লাশি। কিন্তু কোথায় ইঁদুর? আস্ত ইঁদুরটি যেন আচমকাই গায়েব হয়ে যায় বিমান থেকে।
ইঁদুর না পাওয়ায় ঝুঁকি নিতে পারেনি বিমান সংস্থা। যাত্রীদের ক্ষতি হতে। আবার ইঁদুর কোনও তার কেটে দিলে আকাশেই যান্ত্রিক সমস্যার শিকার হতে পারে বিমানটি। সবদিক খতিয়ে দেখে বিমান বাতিল করে দেয় তারা। আর তা শুনে যাত্রীদের ক্ষোভ আছড়ে পড়ে। হৈচৈ শুরু হয়ে যায়। যাত্রীদের দ্রুত আশ্বস্ত করে হোটেলে তোলা হয়। তারপর অন্য বিমানে তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার বন্দোবস্ত করে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ইঁদুরের কী হবে? তার খোঁজ চলতেই থাকে। অবশেষে ইঁদুরটিকে জীবিত বা মৃত কোনও অবস্থাতেই না পেয়ে কীটনাশক ছড়িয়ে বিমানটিকে ফের ওড়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা