ইতিহাসের পাতায় জায়গা পেল ভারতের নারী শক্তির স্বপ্নের উড়ান
নতুন বছরে কী অপেক্ষা করছে তা কারও জানা নেই। নতুন বছর কিন্তু ভারতের নারী শক্তির বিকাশে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিল। জায়গা করে নিল ইতিহাসের পাতায়।
নয়াদিল্লি : ইতিহাস রচিত হল এ দেশে। ৪ ভারতীয় নারী জায়গা করে নিলেন ইতিহাসের পাতায়। নারী শক্তির বিকাশে আরও এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ করল ভারত।
বেঙ্গালুরু শহর থেকে আকাশে উড়ল এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান। যার গন্তব্য ছিল এখান থেকে পৃথিবীর ঠিক উল্টো প্রান্তে থাকা সানফ্রানসিসকো শহর। এই শহরের উদ্দেশে উড়ে গেল বিমানটি। এই প্রথম বেঙ্গালুরু থেকে সানফ্রানসিসকো গেল কোনও বিমান।
এই পর্যন্ত খুব বড় কোনও বিষয় নয়। কারণ নতুন রুটে বিভিন্ন সময় উড়ান চালু হয়। কিন্তু এর বাইরে যেটা ইতিহাস গড়ল তা হল বিমানটি গন্তব্যে উড়ল কেবলমাত্র মহিলা পাইলটদের ভরসায়। এখানেই দেশের সাফল্য। দেশের নারী শক্তির সাফল্য।
দেশে মহিলা পাইলট নতুন নয়। কিন্তু এতটা পথ আগে কখনও কোনও মহিলা পাইলট অতিক্রম করেননি। বেঙ্গালুরু থেকে সানফ্রানসিসকোর দূরত্ব ১৪ হাজার কিলোমিটার। ভারতের ঠিক উল্টো প্রান্তে হওয়ায় এই পথ অতিক্রম করতে টাইম জোন পরিবর্তিত হয় ১৩.৫ ঘণ্টা।
১৭ ঘণ্টা আকাশে থাকতে হবে গন্তব্যে পৌঁছতে। অবশ্য এই ১৭ ঘণ্টার এদিক ওদিক হতেই পারে। তা নির্ভর করছে চলতি পথে বাতাসের গতি কেমন থাকে তার ওপর।
এই উড়ানে ১ নম্বর পাইলট ক্যাপ্টেন জোয়া আগরওয়াল ও ক্যাপ্টেন পাপাগারি থানমাই এবং ২ নম্বর পাইলট ক্যাপ্টেন আকাঙ্ক্ষা সোনাওয়ারে ও ক্যাপ্টেন শিবানী মানাস। এই ৪ ভারতীয় নারী রয়েছেন ককপিটের দায়িত্বে।
ভারতীয় এই ৪ নারী বিশ্বরেকর্ডও তৈরি করলেন। বাণিজ্যিক বিমান পরিষেবায় এখনও বিশ্বে এত বড় রুটে কেবলমাত্র মহিলা চালিত উড়ান ওড়েনি। এই প্রথম এমনটা হল। যা হল এয়ার ইন্ডিয়ার ৪ ভারতীয় মহিলার হাত ধরে।
বেঙ্গালুরু থেকে সানফ্রানসিসকোর এই বিমান ২৩৮ আসন বিশিষ্ট। এছাড়া ১২ জন কেবিন ক্রু রয়েছেন। এদিকে আগামী ১৫ জানুয়ারি থেকে আরও একটি বিশাল রুটে বিমান পরিষেবা দিতে চলেছে এয়ার ইন্ডিয়া। হায়দরাবাদ শহর থেকে শিকাগো পর্যন্ত ওই বিমান মাঝে কোথাও নামবে না। তবে তা মহিলা পরিচালিত হবে না। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা