বিমানে ধূমপান করে ঝগড়া, মাঝ আকাশে দরজা খোলার চেষ্টা, উচিত শিক্ষা পেলেন যাত্রী
একেই বলে উচিত শিক্ষা। যা এক যাত্রীকে পেতে হল বিমানেই। বিমানে তার আগে অবশ্য তিনি যা করলেন তাতে এমন কিছুই তাঁর সঙ্গে হওয়া উচিত ছিল।
লন্ডন থেকে মুম্বই আসছিল একটি বিমান। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে যাত্রীরা যে যাঁর মত সময় কাটাচ্ছিলেন। বিমান তখন মাঝ আকাশে, এমন সময় স্মোক অ্যালার্ম বাজতে শুরু করে। একে মাঝ আকাশে বিমান, তায় আবার স্মোক অ্যালার্ম। স্বভাবতই যাত্রীরা ভীত হয়ে পড়েন।
বিমানকর্মীরা ছোটাছুটি শুরু করেন এটা দেখতে যে কোথাও আগুন লেগেছে কিনা। আর তা করতে গিয়ে তাঁরা টয়লেটে উঁকি দিয়ে দেখেন সেখানে রয়েছে এই অ্যালার্মের উৎস। এক যাত্রী টয়লেটে লুকিয়ে সিগারেট পান করছেন। এটা দেখার পর দ্রুত সেই সিগারেট কেড়ে নিয়ে ফেলে দেন বিমানকর্মীরা। কারণ বিমানে ধূমপান নিষিদ্ধ।
এদিকে বিমানকর্মী তাঁর সিগারেট ফেলে দিতেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন ওই ৩৭ বছর বয়সী রত্নাকর ত্রিবেদী নামে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক। তিনি চিৎকার করতে শুরু করেন। বিমানকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়া জুড়ে দেন।
বিমানকর্মীরা এবং অন্য যাত্রীরা তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেন তিনি সিগারেট পান করে ভুল করেছেন। কিন্তু তা শুনে তিনি আরও রেগে যান। রেগে মাঝ আকাশেই বিমানের দরজা খুলে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
দরজা খুললে তা যে কতটা ভয়ংকর হতে পারে তা যাত্রীদের অনুমেয়। রত্নাকরকে তাই চেপে ধরে ফেলেন কয়েকজন বিমানকর্মী। বিমানকর্মীরাই তাঁকে এরপর টেনে এনে তাঁর সিটে বসিয়ে দেন। তারপর তাঁর হাত পা সিটের সঙ্গে শক্ত করে বেঁধে দেন বিমানকর্মীরা।
তাঁর কাজের জন্য উচিত শিক্ষা পান রত্নাকর নামে ওই ব্যক্তি। তাঁকে বেঁধে দেওয়ার পরও অবশ্য তিনি চিৎকার করতে থাকেন। এদিকে মুম্বইয়ে বিমান অবতরণের পর রত্নাকরকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা