দূষণ শোষা রোবট বানাল একাদশ শ্রেণির ছাত্র
বিভিন্ন ক্ষেত্রে একের পর এক তাক লাগিয়ে দিচ্ছে দেশের স্কুল ছাত্ররা। এবার দূষণ শোষা রোবট বানিয়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্র।
এ দেশে যে প্রতিভার অভাব নেই তা বারবার প্রমাণ করে দিচ্ছে দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যতেরা। বারবার প্রমাণ করে দিচ্ছে হতে পারে তারা স্কুলে পড়ে, কিন্তু তাদের ভাবনা কোনও দক্ষ ব্যক্তির চেয়ে কম নয়।
শুধু ভারত বলেই নয়, সারা বিশ্বেই দূষণ এক বড় সমস্যা। আধুনিক জীবনে কল কারখানা থেকে যানবাহন, সব কিছু থেকেই দূষণ ছড়াচ্ছে বাতাসে। যা মানবসভ্যতাকে বিভিন্ন ব্যাধি উপহার হিসাবে দিচ্ছে।
ভারতের বিভিন্ন শহরে দূষণ মাত্রা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে সময়ের চাহিদা মেনে এক দুরন্ত আবিষ্কার করে ফেলল একাদশ শ্রেণির ছাত্র প্রাঞ্জল। তার আবিষ্কারে তার পাশে ছিল তারই ক্লাসের এক বন্ধু আরেন্দ্র।
প্রাঞ্জল একটি রোবট তৈরি করে ফেলেছে। যে রোবট বাতাস থেকে শুষে নিতে পারে দূষণ। সেই দূষণ জমা হয় রোবটের মধ্যে থাকা পিউরিফায়ারে।
রোবটের মধ্যে প্রাঞ্জল একটি এয়ার পিউরিফায়ার যন্ত্র লাগিয়ে দিয়েছে। এই যন্ত্র তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বাতাস থেকে শুষে নিচ্ছে দূষিত কণা। সেগুলিকে জমিয়ে রাখছে তার পেটের মধ্যে। এভাবেই বাতাস পরিষ্কার করে চলেছে সে।
রোবটটি বাতাসকে পরিচ্ছন্ন করে দূষণমুক্ত বাতাস ছেড়ে দিচ্ছে। ফলে দূষণমুক্ত বাতাস বাড়ছে। কমতে থাকছে দূষণ। যা এই মুহুর্তে সবচেয়ে বেশি দরকার।
এই রোবট বানাতে পেরে বেজায় খুশি প্রাঞ্জল। আগামী দিনে প্রাঞ্জল চায় এই রোবটটিকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে। এজন্য তাতে যা যা প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করতে হবে তা নিয়ে সে বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কথাও বলতে চাইছে।
প্রাঞ্জলের এই এয়ার পিউরিফায়ার রোবট তৈরি নিয়ে বেজায় খুশি তার স্কুল। কানপুরের ছেলে প্রাঞ্জলের স্কুলের প্রিন্সিপাল জানিয়েছেন, প্রাঞ্জল ভবিষ্যতের বিজ্ঞানী। স্কুলের ল্যাবেও প্রাঞ্জল নানা সাহায্য করে থাকে। তার এই রোবট বর্তমান সময়ের বড় চাহিদা বলেও জানান ছাত্রের সাফল্যে গর্বিত প্রিন্সিপাল। আপাতত তার এই রোবটকে আরও শক্তিশালী করায় মন দিয়েছে প্রাঞ্জল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা