পাহাড় প্রমাণ ঋণের বোঝা, বাড়তে থাকা ক্ষতির পরিমাণ, তীব্র প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়া, এমন নানা কারণ দর্শে তাদের দেউলিয়া ঘোষণার জন্য মুম্বইয়ের ‘ন্যাশনাল কোম্পানি ল্ ট্রাইব্যুনাল’-এ আবেদন জানাল টেলিকম সংস্থা ‘এয়ারসেল’। বেশ কিছুদিন ধরেই এয়ারসেল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে খবর ভেসে বেড়াচ্ছিল। বকেয়া না মেটানোয় একে একে তাদের টাওয়ার ব্যবহার বন্ধ করে দিচ্ছিল আইডিয়া, ভোডাফোনের মত সংস্থা। চাপ বেড়েই চলেছিল মালয়েশিয়ার কোটিপতি টি আনন্দ কৃষ্ণাণ-এর মোবাইল সংস্থা এয়ারসেলের। যাদের ৭৪ শতাংশ শেয়ারই রয়েছে মালয়েশিয়ার ম্যাক্সিস কমিউনিকেশনসের হাতে।
চাপ বাড়তে থাকায় গত বছর রিলায়েন্সের সঙ্গে মিশে যাওয়ার একটা তোড়জোড় শুরু করেছিল এয়ারসেল। কিন্তু টেলিকম অথরিটির নিয়মের গেরোয় সংস্থাকে বাঁচানোর শেষ খড়কুটো আঁকড়ানোর চেষ্টাও জলে যায়। রিলায়েন্সের সঙ্গে মিশে যাওয়ার চেষ্টা বিফল হয়। তারপর এই দিনটা আসা কার্যত অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠেছিল। হলও তাই। তাদের দেউলিয়া ঘোষণার আবেদন জানিয়েই দিল এয়ারসেল। এই খবরে এয়ারসেলের গ্রাহকরা চিন্তায় পড়েছেন। সেটাই স্বাভাবিক। দ্রুত ‘পোর্ট’ করে নম্বরটিকে অন্য মোবাইল সংযোগ প্রদানকারী সংস্থায় নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছেন তাঁরা।