দাদাকে হারিয়ে শোকাহত অজয় দেবগণ
পরিবারের কারও মৃত্যু প্রিয়জনদের শোকাহত করে। অজয় দেবগণের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হল না।
মুম্বই : বলিউড তারকা অজয় দেবগণের পরিবার থেকে একজন অকালে চলে গেলেন। অজয় দেবগণের দাদা অনিল দেবগণ চলে গেলেন অকালে। তিনি ছিলেন বলিউডের বেশ কিছু সিনেমার পরিচালক।
পেশায় পরিচালক অনিলের মৃত্যুর খবর অজয় দেবগণই দেন। অজয় জানান তাঁর দাদা অনিল দেবগণ গত মঙ্গলবার রাতে মারা যান। তাঁর এই অকাল মৃত্যুতে গোটা দেবগণ পরিবার ভেঙে পড়েছে।
অজয় দেবগণ এটাও পরিস্কার করে দেন যে তাঁর দাদার মৃত্যু তাঁদের গোটা পরিবারের জন্য শোকের। কিন্তু এই অতিমারি পরিস্থিতিতে দাদা অনিলের কোনও স্মরণ সভার আয়োজন তাঁরা করছেন না। অজয় পরিস্কার করে দিলেন যে তাঁর দাদার পারলৌকিক কাজ পরিবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। বাইরের কেউই তাতে থাকছেন না।
অজয় দাদা অনিলের মৃত্যুর খবর ট্যুইট করে জানিয়েছেন। পরে বনি কাপুর ট্যুইট করে অনিলের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন। আরও অনেকেই শোক প্রকাশ করেছেন।
অজয় দেবগণ অভিনেতা হিসাবে নিজেকে তুলে ধরা স্থির করেছিলেন। আর তাঁর দাদা স্থির করেছিলেন তিনি পরিচালক হতে চান। ১৯৯৬ সালে পরিচালক রাজ কানোয়ারের জিত সিনেমায় অনিল সহকারী পরিচালক হিসাবে কাজ শুরু করেন। এরপর জান ও ইতিহাস নামে ২টি সিনেমাতেও অনিল দেবগণ সহকারী পরিচালক হিসাবে কাজ করেন।
১৯৯৮ সালে পেয়ার তো হোনা হি থা-র মত হিট সিনেমাতে তিনি ছিলেন সহকারী পরিচালক। ১৯৯৯ সালে তাঁর বাবা বীরু দেবগণের হিন্দুস্তান কি কসম সিনেমায় বাবারও সহকারী হিসাবে কাজ করেন অনিল। ২০০০ সালে তাঁর প্রথম পরিচালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ ঘটে।
২০০০ সালে রাজু চাচা নামে একটি সিনেমায় পরিচালক হিসাবে ডেবিউ করেন অনিল দেবগণ। সিনেমায় ছিলেন ঋষি কাপুর, অজয় দেবগণ ও কাজল।
২০০৫ সালে তারকা বহুল সিনেমা ব্ল্যাকমেল-এর পরিচালকও ছিলেন অনিল। ওই সিনেমায় অভিনয় করেন অজয় দেবগণ, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, সুনীল শেট্টি ও দিয়া মির্জা।
২০০৮ সালে হাল-এ-দিন নামে একটি সিনেমা পরিচালনা করেন অনিল। সেটাই ছিল তাঁর শেষ পরিচালক হিসাবে কাজ। ২০১২ সালে অজয় দেবগণ অভিনীত সন অফ সর্দার সিনেমায় অনিল ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর হিসাবে কাজ করেছিলেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা