প্রথমে দিনের আলোয় বাড়ির সামনে পৌঁছেছিল সে। কিন্তু সুরক্ষা কর্মীরা জানিয়ে দেন অক্ষয় কুমারের সঙ্গে এভাবে দেখা করা যায়না। কিন্তু সেও ছাড়ার পাত্র নয়। বাড়ি ছেড়ে এতদূর এসে অক্ষয়ের সঙ্গে দেখা না করে সে যাবেনা। সুরক্ষা কর্মীদের বাধায় তখনকার মত ফিরে যায় সে। দেখে যায় চারপাশ। তারপর রাতে ফিরে আসে। দেখে পাঁচিলের ধার ঘেঁষে একটি মাটাডোর দাঁড়িয়ে আছে। সকলের চোখ এড়িয়ে মাটাডোরে মাথায় চড়ে উঁচু পাঁচিলের নাগাল পেয়ে যায় সে। উঠে পড়ে পাঁচিলে। তারপর সেখানে বসে থাকা নিরাপদ নয় মনে করে পাঁচিলের ধার ঘেঁষা একটি গাছের ডালে চড়ে বসে। এখানেই প্রায় ঘণ্টা দুয়েক কাটিয়ে দেয় সে।
হরিয়ানার বাসিন্দা বছর ২০-র তরুণ অঙ্কিত গোস্বামী যে এভাবে বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমারের বাড়ির পাঁচিল ঘেঁষা গাছের ডালে রাতের অন্ধকারে চড়ে বসে আছে তা কারও নজরে পড়েনি। রাত দেড়টা নাগাদ যখন কার্যত সবদিক সুনসান তখন অঙ্কিত গাছের ডাল ছেড়ে আস্তে আস্তে নেমে পড়ে পাঁচিলের ওপাশে বাড়ির চত্বরে। কিন্তু কম্পাউন্ডের মধ্যে তাকে দেখতে পেয়ে যান সুরক্ষাকর্মীরা। ব্যাস আর যায় কোথায়! তখনই তাকে পাকড়াও করে পুলিশের হাতে তুলে দেন তাঁরা।
পুলিশ জানাচ্ছে, গত সোমবারই বাড়ি থেকে পালিয়ে হরিয়ানা থেকে ট্রেন ধরে মুম্বই পৌঁছয় অক্ষয় কুমারের অন্ধ ভক্ত অঙ্কিত। তারপর মুম্বইয়ের জুহুতে অক্ষয়ের বাড়ির কাছে পৌঁছে যায় সে। একবার অক্ষয়ের সঙ্গে কথা বলতে চায় সে। এটাই ছিল তার লক্ষ্য। কিন্তু তার জানা ছিলনা এতকিছু যাঁর দর্শন পাওয়ার জন্য সেই অক্ষয় এখন বাড়িতে নেই। আপাতত গারদের পিছনেই স্থান হয়েছে অঙ্কিতের। তার বাবা তাকে ছাড়াতে হরিয়ানা থেকে মুম্বই রওনা দিয়েছেন।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)