সমুদ্রে ভাসা কাচের বোতলে বহু বছর আগের বার্তা লেখা কাগজ পেলেন মহিলা
সমুদ্রে ভেসে এসেছিল কাচের বোতলটি। পড়েছিল সমুদ্রের ধারের বালির ওপর। সমুদ্রের ধারে বেড়াতে বেড়াতে আচমকাই এক মহিলার নজর যায় সেটির ওপর।
একটা সময় ছিল যখন কোনও দ্বীপে আটকে গেলে বা জাহাজডুবি হলে বা কোথাও বন্দি হলে, মানুষ বোতলের মধ্যে কাগজে লিখে বার্তা দিয়ে তা সমুদ্রে ফেলে দিতেন। যাতে কেউ যদি সেই বোতলটি পান তাহলে তাঁকে সাহায্য করতে পারেন বা তাঁর পরিবারের কাছে কোনও বার্তা পৌঁছে দিতে পারেন।
বোতলবন্দি থাকায় কাগজটির কোনও ক্ষতি হতনা। তা ভাসতে ভাসতে কোনও সময় কোনও চড়ায় গিয়ে আটকে যেত। অনেক সময় মানুষের চোখে পড়ত। আর তাতে উপকারও অনেকের হয়েছে।
তবে সে সময় যোগাযোগ মাধ্যম তেমন শক্তিশালী ছিলনা। এমনকি সেই বোতল বহু বছর পর পাওয়া গিয়েছে এমনটাও হয়েছে। এই যুগেও কিন্তু ভেসে এল এমনই একটি কাচের বোতল। যা নজর কাড়ে এক মহিলার। যিনি সমুদ্রের ধারে বেড়াচ্ছিলেন।
আচমকাই তাঁর নজরে পড়ে কিছু লতাপাতায় জড়িয়ে সমুদ্রের ধারে পড়ে আছে একটি কাচের বোতল। যার মধ্যে মনে হচ্ছে কিছু একটা রয়েছে।
কৌতূহলবশত ওই মহিলা বোতলটি খুলে দেখেন তাতে লেখা রয়েছে একটি লাইন। লেখা আছে হ্যাপি নিউ ইয়ার ১৯৮৭! ১৯৮৭ সালে যে কাগজ বোতলবন্দি হয়ে সমুদ্রে ভেসেছিল তা পাওয়া গেল ২০২১ সালে এসে।
আলাস্কার একটি সমুদ্রতটে এই ঘটনাটি ঘটেছে। প্যাম জয় নামে ওই মহিলা বিষয়টি নিয়ে খুবই উত্তেজিত। তাঁর ইচ্ছা তিনি ওই মানুষটির সঙ্গে দেখা করবেন যিনি ১৯৮৭ সালে ওই বোতলটি সমুদ্রে ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। যা এত বছর ধরে ভাসতে ভাসতে তাঁর হাতে এসে পড়ল। তবে তলায় কারও স্বাক্ষর বা নাম লেখা না থাকায় সে সম্ভাবনা কম।