শনিবার কলকাতা থেকে ১ হাজার কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরের গোপনে বাড়ছে সে। বাড়াচ্ছে শক্তি। আকার নিচ্ছে দানবের। তালিকা মেনে নাম তার ক্যান্ত। যার বাংলা মানে দাঁড়ায় কুমির। সেই কুমিরই এবার ডুবিয়ে দিতে পারে কালীপুজো থেকে দীপাবলির যাবতীয় মজা।
ঘূর্ণিঝড় ক্যান্ত-এর অভিমুখ যদিও মায়ানমারের দিকে। কিন্তু আবহবিদদের অভিজ্ঞতা বলছে যে কোনও মুহুর্তে তা মায়ানমারে ধাক্কা খেয়ে ফের বাংলার দিকে ফিরে আসতে পারে। এইসব যাতায়াত মিলিয়ে সময়ের যে হিসাব দাঁড়াচ্ছে তাতে মাঠে মারা যেতে পারে দীপাবলির আলোর রোশনাই। প্যাচপ্যাচে কাদায় দাঁড়িয়ে একটানা বৃষ্টিতে হাউই তারা ডানা মেলবে না। রোদ পোহাতে পারবে না চরকি, রংমশাল, তুবড়ি, ফুলঝুরিরা। বছরকার দিনে কচিকাঁচাদের মুখ ভার হওয়ার কারণও হতে পারে এই কুমির। তবে অন্য একটা পথও খোলা আছে। যদি মায়ানমারের দিকে ধেয়ে গিয়ে সেখানেই আছড়ে পড়ে নিজের শক্তিক্ষয় করে ফেলে কুমির তবে এ যাত্রায় ঝলমলে আলোয় কালীপুজো-দীপাবলির মাতিয়ে দেবে মাটি থেকে আকাশ।