পুজো মাটি করতে পারে বৃষ্টি, পূর্বাভাস বলছে ষষ্ঠী থেকেই শুরু বর্ষণ
পুজোর দিনগুলোয় যে এবার বৃষ্টি হতে পারে সেকথা আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে এই বৃষ্টি ষষ্ঠী থেকেই শুরু হয়ে যাবে।
পুজোর আগে পঞ্চমী পর্যন্তও মোটামুটি ঠিকঠাক কেটেছে। রোদ ঝলমলে আকাশ থেকেছে। কিন্তু সেই রোদ ঝলমল আকাশের আড়ালে মানুষের মনের কোণে আশঙ্কার মেঘ জমেছে। আর সেই মেঘের কারণ আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস।
পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে ষষ্ঠী থেকেই জমাট বাঁধতে পারে ঘূর্ণাবর্ত। যা আরও শক্তি বাড়িয়ে সপ্তমীর মধ্যেই নিম্নচাপে পরিণত হবে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হলে ক্রমশ মেঘের সঞ্চার বাড়বে। সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি শুরু হবে। সপ্তমীতে তা আরও প্রকোপ বাড়াবে।
রাজ্যের উপকূলীয় জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। অষ্টমীতে সেই বৃষ্টির তেজ আরও বাড়বে।
নবমী ও দশমীতে কলকাতা সহ আশপাশের জেলাগুলিতে বৃষ্টি কিছুটা কমলেও একদম বৃষ্টি হবে না এমনটা নাও হতে পারে। নবমী থেকে আবার উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি বাড়বে।
উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে পুজোর শেষের দিকটা বৃষ্টিতে ভাসতে পারে। ফলে পুজো এবার বাংলায় বৃষ্টির ভেজা গন্ধে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যা পুজোর আনন্দ মাটি করার জন্য যথেষ্ট।
পুজোর ৫ দিনের আগে থেকেই ঠাকুর দেখতে বার হওয়া বেশ কয়েক বছর ধরেই চলছে। বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ দর্শনার্থীদের জন্য খুলে যাচ্ছে মহালয়ার পর থেকেই।
ফলে তৃতীয়ার পর কলকাতা শহরের রাস্তায় ঠাকুর দেখতে বার হওয়া মানুষের ভিড় বেড়েছে। চতুর্থী ও পঞ্চমীতে তা আরও বেড়েছে। অধিকাংশ পুজো মণ্ডপেই উপচে পড়েছে দর্শনার্থীদের ভিড়।
অনেকে হয়তো পূর্বাভাস শুনেও আর ঝুঁকি নেননি। ষষ্ঠী পর্যন্ত অপেক্ষা না করে আগেভাগেই ঠাকুর যতটা দেখা যায় দেখে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন।