অবশেষে স্বস্তির ঝড়বৃষ্টি, তেমনই পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস
টানা গরম। বৃষ্টির দেখা নেই। ভ্যাপসা গরম বেড়েই চলেছে। পাখার তলায় বসেও দরদর করে ঘাম। এমন পরিস্থিতির সঙ্গে লড়তে লড়তে ক্লান্ত মানুষজনের জন্য সুখবরই শোনাল হাওয়া অফিস।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল চলে যাওয়ার পর থেকেই আস্তে আস্তে গরম বাড়ছিল। মে মাসের শেষের দিক থেকে বাড়তে থাকা সেই গরম আর ভ্যাপসা আবহাওয়া তার দাপট বাড়াচ্ছিল। ক্রমে তা এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যা অসহ্য হয়ে দাঁড়ায়।
একে গরম। তার ওপর দরদর করে ঘাম হচ্ছে। পাখার তলায় বসেও ঘাম থামছে না। রাতেও রেহাই নেই। গরমে ঘুম চুরি হয়েছিল অনেকের। ক্লান্তি ক্রমশ জাঁকিয়ে বসছিল। এই প্রবল ভ্যাপসা গরম থেকে কবে মুক্তি তা ছিল সাধারণ মানুষের জিজ্ঞাসা।
কিন্তু তার কোনও সদুত্তর দিতে পারছিলনা আবহাওয়া অফিস। বর্ষাও ঢোকার এখন কোনও ঠিক ঠিকানা নেই। এই অবস্থার মধ্যেও অবশেষে স্বস্তির খবর দিল আবহাওয়া দফতর।
গত বুধবারই কলকাতা এবং তার আশপাশের জেলায় কোথাও কোথাও বৃষ্টি হয়। খুব ঝেঁপে না হলেও জল পড়েছে। সঙ্গে ঠান্ডা দমকা হাওয়া বয়েছে অনেক জায়গায়। যা ক্ষণিকের জন্য হলেও স্বস্তি দিয়েছে গরমে প্রাণান্তকর পরিস্থিতি থেকে।
কিন্তু শুক্রবার সকাল থেকে ফের অসহ্য গরম। এই পরিস্থিতিতে আবহাওয়া দফতর সুখবর শুনিয়েছে। যেমন বেশ কয়েকটি জেলায় তাপপ্রবাহের খারাপ খবর রয়েছে, তেমনই দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায় বজ্র বিদ্যুৎসহ বৃষ্টির পূর্বাভাসও দিয়েছে তারা।
শনিবার থেকে তার দাপট বাড়বে। পশ্চিমের যেসব জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে, সেখানে বৃষ্টির পূর্বাভাসও রয়েছে। আপাতত শনিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বৃষ্টি কম বেশি হতে থাকবে বলে পূর্বাভাস। এর হাত ধরে বর্ষার বঙ্গে প্রবেশ ঘটে কিনা আপাতত সেদিকেই চেয়ে আবহবিদেরাও।
উত্তরবঙ্গ অবশ্য দক্ষিণবঙ্গের মত চাতকের অপেক্ষায় নেই। সেখানে দেদার বৃষ্টি হচ্ছে। হিমালয় ঘেঁষা জেলাগুলিতে অতিপ্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বৃষ্টি বরং সেখানে স্বাভাবিক জনজীবনের ওপর প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে।