নাছোড় বৃষ্টিতে ভিজছে রাজ্য, কেন বৃষ্টি, কতদিন চলবে, মিলল পূর্বাভাস
বৃহস্পতিবার সন্ধের পর যে বৃষ্টি শুরু হয় তা কিন্তু সকাল পর্যন্ত দফায় দফায় হয়েছে। বেলা থেকে ফের লাগাতার বর্ষণ। কেন এমন বৃষ্টি, চলবে কতদিন, মিলল পূর্বাভাস।
বৃহস্পতিবার সন্ধেয় ঝোড়ো হাওয়া দিয়ে বিদ্যুৎ চমকে বজ্র গর্জন করে যে বৃষ্টি নামে তা রাতের দিকে থেমে যায়। তারপর গভীর রাতে বৃষ্টি ফের চালু হয়। এভাবে সকাল পর্যন্ত দফায় দফায় বৃষ্টি হয়। শুক্রবার সকালটা বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই মিললেও, বেলা বাড়তেই ফের শুরু হয় বৃষ্টি।
সকাল থেকেই এদিন আকাশের মুখ ছিল ভার। বেলায় বৃষ্টি শুরুর আগে তা কালো হয়ে আসে। বৃষ্টির জেরে অনেক জায়গায় জল জমে। দক্ষিণবঙ্গ বলেই নয়, এদিন উত্তরবঙ্গও সমানভাবে ভিজে একসা।
বাংলাদেশের ওপর একটি নিম্নচাপ ক্রমে রাজ্যের দিকে সরে এসেছে। আবার উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপের রূপ নিচ্ছে। উত্তাল হয়ে রয়েছে উত্তর বঙ্গোপসাগর। মৎস্যজীবীদেরও ফিরে আসতে বলেছে আবহাওয়া দফতর।
সমুদ্রে নতুন করে মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণবঙ্গ জুড়েই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। বাংলাদেশ থেকে আসা নিম্নচাপটি বৃষ্টি বাড়িয়ে দিয়েছে। বৃষ্টি চলছে নাগাড়ে। কখনও কম তো কখনও ঝেঁপে।
শুক্রবার রাজ্যের সর্বত্র বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বজ্র বিদ্যুৎসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। শনিবার এই বৃষ্টি ভারী বৃষ্টির আকার নেবে।
দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২ বর্ধমান এবং বাঁকুড়ায় অতি প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাসও রয়েছে শনিবার। তুলনায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তরবঙ্গে কম।