চতুর্থীতেও মেঘ গর্জে ঝেঁপে বৃষ্টি, পুজোও কি ভাসবে, চিন্তায় বঙ্গবাসী
তৃতীয়ার বিকেল সন্ধের পর চতুর্থীতেও বেলা বাড়তেই মেঘে ছেয়ে যায় আকাশ। নামে ঝেঁপে বৃষ্টি। তাহলে কি পুজোয় এবার বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই নেই?

নিম্নচাপ অনেকটাই দুর্বল। কিন্তু বৃষ্টি পিছু ছাড়ার নাম করছেনা। তৃতীয়া ভেজানোর পর চতুর্থীর দুপুরও বৃষ্টিতে ভিজল। অল্প নয়, বেশ ঝেঁপেই হল বৃষ্টি। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে রবিবার চতুর্থীর দিন দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্র বিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মৌসুমি অক্ষরেখা সক্রিয় থাকায় এই বৃষ্টি।
নিম্নচাপ কেটে রবিবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ার পূর্বাভাসই ছিল হাওয়া অফিসের তরফ থেকে। কিন্তু সকালটা এদিন ঝলমলে কাটলেও বেলা বাড়তেই মেঘে ঢেকে যায় আকাশ। ক্রমশ মেঘ পুরু হতে থাকে। একসময় প্রায় অন্ধকার রূপ নিয়ে বৃষ্টি নামে ঝেঁপে।
অনেক পুজোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়ে গেছে। অনেক প্যান্ডেলে মানুষের ঢলও নেমেছে। আবার এই রবিবারই পুজোর আগে শেষ রবিবার। তাই এদিন শেষ মুহুর্তের কেনাকাটার ভিড় যে বিভিন্ন বাজারে উপচে পড়বে তা বলাই বাহুল্য।
কার্যত পুজোর আমেজ পেয়ে বসেছে সর্বত্র। সেই অবস্থায় যাবতীয় আনন্দে জল ঢেলে চতুর্থীর সকালের বৃষ্টিতে মনখারাপ বাঙালির। পুজোটাও কি এমনই কাটবে? এটাই এখন তাঁদের জিজ্ঞাসা।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী সোমবার রবিবারের মত দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে না হলেও দুই ২৪ পরগনা ও ২ মেদিনীপুরে হলুদ সতর্কতা রয়েছে। বাকি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বা বজ্র বিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। যা পুজোর দিনগুলোর জন্যও প্রযোজ্য।
ফলে টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস না থাকলেও পুজো যে একদম বৃষ্টি শূন্য হবে তাও নয় বলেই মনে করছেন আবহবিদেরা। উত্তরবঙ্গে তুলনায় কম বৃষ্টির পূর্বাভাস। তবে সেখানেও পুজোর দিনগুলোতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বা বজ্র বিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।