রাজ্যের দুদিকে দুটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। ফলে বাতাসে ঢুকছে জলীয় বাষ্প। যার জেরে উত্তুরে ঠান্ডা হাওয়া বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। ফলে সামনের কয়েকদিন জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। তেমনই পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস। সবে শীতল অনুভূতি বঙ্গবাসীর মনে খুশির আবহ তৈরি করতে শুরু করেছিল। কিন্তু সে সুখ বেশিদিন সইল না। যা পরিস্থিতি তাতে রাতের দিকে তাপমাত্রা কমা দূরে থাক উল্টে বাড়বে। ফলে বড়দিনের আগে যে জাঁকিয়ে ঠান্ডার প্রত্যাশা বাঙালি করছিল তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন আছে।
এমনিতেই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে উত্তুরে হাওয়া বাধা পেয়েই চলেছে। তারমধ্যে ঘূর্ণাবর্তের নয়া উপদ্রব। জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ পার করলেই কলকাতা থেকে শীত টাটা করে বিদায় নেয়। অর্থাৎ আর মাত্র ১টা মাস কনকনে শীতের পরশ গায়ে মাখার সুযোগ। সেটাও এভাবে ঘূর্ণাবর্ত, নিম্নচাপ, পশ্চিমী ঝঞ্ঝারা কেড়ে নিলে আর পড়েটা থাকে কী? বাঙালির ঘরে ঘরে সে প্রশ্ন।
এদিকে আবহবিদরা জানিয়েছেন ঘূর্ণাবর্তের জেরে রাজ্য জুড়েই কুয়াশার দাপট প্রবলভাবে বাড়বে। সূর্যের দেখা মিলতে বেলা গড়িয়ে যেতে পারে অনেক জায়গায়। দৃশ্যমানতা কম থাকায় যাতায়াতেরও অসুবিধা হবে।