আকাশে মেঘ রোদের খেলা দেখে দেখে এখন শহরবাসীর গা সয়ে গেছে। কিছুটা নিশ্চিন্তও। এমন করে তালেগোলে গরমের দিনগুলো কেটে গেলে মন্দ হয়না। এদিকে উত্তরবঙ্গ থেকে মণিপুর পর্যন্ত বিস্তৃত ঘূর্ণাবর্তের জেরে এদিন সকাল থেকেই প্রবল ঝড় বৃষ্টি শুরু হয় মালদা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, ২ বর্ধমান ও নদিয়ায়। কাজের দিনের সকালে এমন ঝড় বৃষ্টিতে অনেক জায়গা লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। তারমধ্যেই মাঠে কাজ করার সময়ে বাজ পড়ে মুর্শিদাবাদে মৃত্যু হয় ২ জনের। প্রবল বৃষ্টি থেকে বাঁচতে গাছের তলায় আশ্রয় নেওয়া এক কিশোরেরও মৃত্যু হয় বাজ পড়েই। অকুস্থল সেই মুর্শিদাবাদ। বজ্রাঘাতে ৩ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি মুর্শিদাবাদে ৩ ব্যক্তি বাজে আহতও হয়েছেন।
সকালের সেই তাণ্ডব কলকাতা বা সংলগ্ন জেলাগুলিকে দেখতে হয়নি। তবে দুপুরের পর থেকে কলকাতার আকাশে মেঘ ছেয়েছে। সঙ্গে মাঝেমধ্যেই দিয়েছে ঝোড়ো হাওয়া। তারমধ্যেই হাওয়া অফিস যা পূর্বাভাস দিচ্ছে তাতে আপাতত তটস্থ কলকাতা। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কলকাতা ও দুই ২৪ পরগনায় সন্ধের দিকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে ঝড় আছড়ে পড়তে পারে। সঙ্গে থাকবে বৃষ্টি। আর ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় যে কী তাণ্ডব করতে পারে তার আন্দাজ কিছুদিন আগেই পেয়েছে শহরবাসী। ফলে তটস্থ হওয়ার কারণও আছে।