রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের ৫ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বঙ্গোপসাগরের ওপর সৃষ্ট নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত হওয়ায় এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পূর্বাভাসে পশ্চিমাঞ্চলের বাসিন্দাদের কপালের ভাঁজ পুরু হয়েছে। এমনিতেই বানভাসি চেহারা নিয়েছে বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরের একাংশ ও বীরভূমের একাংশ। জল বাড়ছে পুরুলিয়াতেও। সুবর্ণরেখা, শালি, গন্ধেশ্বরী, ডুলুং নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। বেশ কয়েকটি সেতু ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত। গ্রামের সঙ্গে সংযোগকারী কিছু বাঁশের সেতু স্রোতে ভেসে গেছে। অনেক গ্রাম জলের তলায়। খোদ শহরের রাস্তা দিয়ে খরস্রোতা নদীর মত বইছে জল। সড়ক হারিয়ে গেছে জলের তলায়। অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ নেই। পানীয় জলের সমস্যাও সৃষ্টি হয়েছে অনেক জায়গায়।
বাঁকুড়ায় এদিন কিছুটা কম বৃষ্টি হওয়ায় জল সামান্য নামলেও ফের ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস স্বস্তি কেড়ে নিয়েছে। এদিকে পূর্ব মেদিনীপুরে জল বাড়ছে। সঙ্গে একটু একটু করে বাড়ছে বৃষ্টির প্রকোপ। আগামী দিনে প্রবল বৃষ্টি পশ্চিমাঞ্চলের ৫ জেলার অবস্থা আরও শোচনীয় করবে বলেই মনে করছে প্রশাসন। ফলে তৈরি তারা। তৈরি রয়েছে সেচ দফতরও।
পশ্চিমাঞ্চলে নিম্নচাপের প্রভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। তবে বৃষ্টি হবে। হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে সর্বত্রই। মৌসুমি অক্ষরেখা সক্রিয় থাকায় এই বৃষ্টি। মঙ্গলবার সকাল থেকে কলকাতার আকাশে কখনও রোদের দেখা মিলেছে, কখনও ঘন মেঘ হয়ে বৃষ্টি নেমেছে। তবে বৃষ্টি বারবার হলেও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ফলে জল জমার অবস্থা তৈরি হয়নি।