প্রবল গরম। তার সঙ্গে প্রবল ঘাম। দিনের পর দিন এমন চলতে থাকায় কার্যত নাজেহাল শহরবাসী। এই অবস্থায় একটু বৃষ্টির জন্য চাতক পাখির মত আকাশের দিকে চেয়ে আছেন সকলে। আকাশে মাঝেমধ্যে পাতলা মেঘের সঞ্চারও হচ্ছে। কিন্তু বৃষ্টির দেখা নেই। আবহাওয়া দফতর এই অবস্থায় পরিস্কার জানিয়েও দিয়েছে যা পরিস্থিতি তাতে এখনই বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই শহরে। কলকাতাবাসীকে এখনও এই প্রবল গরম আর প্রবল আর্দ্রতার মধ্যেই কাটাতে হবে।
এখন এমন অবস্থা হয়েছে যে রাতেও ভাল করে ঘুমোতে পারছেন না অনেকে। মাথার ওপর পাখা ঘুরলেও ঘাম থেকে রেহাই মিলছে না। কেবল কিছুটা বাঁচোয়া যাঁদের ঘরে এসি মেশিন লাগানো রয়েছে। তবে তাঁদেরও সেখান থেকে বার হলেই চরম গরমে নাজেহাল দশা হচ্ছে।
বুধবার পুরুলিয়ার বেশ কিছু অংশে বৃষ্টি হয়েছে। গ্রীষ্মকালে অনেক সময় স্থানীয়ভাবে মেঘ সঞ্চার হয়ে বৃষ্টি হয়। অনেকটা তেমনই হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ সারা দিন প্রবল গরমে পুড়েছে পুরুলিয়া। তারপর বিকেলে সেই গরম থেকে রেহাই দিয়ে কিছুটা বৃষ্টি হয়। দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলায় অবশ্য বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
কলকাতাবাসীর অবশ্য তাতে বড় একটা লাভ নেই। কারণ বৃষ্টির সম্ভাবনা এখানে যে এখনই নেই তা পরিস্কার করে দিয়েছে হাওয়া অফিস। অন্যদিকে এবার কেরালাতে বর্ষাও ঢুকছে দেরিতে। ফলে পশ্চিমবঙ্গেও বর্ষার জলভরা মেঘ ঢুকতে সময় লাগবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ফলে এখনই কোনও ভাল লাগার মত আশা আবহাওয়ার দিক থেকে নেই। বরং গরমে নাজেহাল হতে হবে এখনও বেশ কিছুদিন।