কেরালায় বর্ষা ঢোকার এক সপ্তাহ পরে বঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করে। এটাই চিরাচরিত পূর্বাভাস। তবে বাস্তবে তা অনেক সময় মেলেনা। কিছুটা দেরি হয় বঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করতে। এবার খোদ কেরালাতেই বর্ষা ঢুকেছে এক সপ্তাহ পরে। অর্থাৎ যে ৮ জুন বঙ্গে বর্ষার প্রবেশের কথা থাকে, সেদিন কেরালাতে এবার বর্ষা প্রবেশ করেছে। ফলে পশ্চিমবঙ্গে বর্ষা ঢুকতে দেরি। কিন্তু সেই দেরি কতটা? কবে ঢুকবে বর্ষা? আমজনতার এ প্রশ্নের উত্তর নেই আবহাওয়া দফতরের কাছেও।
বর্ষা ঢোকার জন্য যে অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়, তার লেশমাত্রও এখন দেখা যাচ্ছে না। বরং প্রবল অস্বস্তিকর গরমে দিনভর নাজেহাল দশা হচ্ছে বাংলার মানুষের। সারাদিন ধরে ঘেমেই চলেছেন সকলে। প্রবল আর্দ্রতার কারণে ঘাম থামার নাম নিচ্ছে না। যা দ্রুত শরীরে ক্লান্তি এনে দিচ্ছে। কেবল যাঁরা এসি-র মধ্যে থাকছেন তাঁরা কিছুটা স্বস্তিতে থাকতে পারছেন। কিন্তু আমজনতার বড় অংশই এসি-তে থাকেন না। ফলে তাঁদের ভুগতে হচ্ছে অসহ্য গরমে।
হাওয়া অফিস বলছে আরব সাগরের ওপর তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘বায়ু’-র প্রভাবে মৌসুমি বায়ু প্রবেশে বাধা পাচ্ছে। ফলে বিলম্বিত হচ্ছে বর্ষার আগমন। এখন যা পরিস্থিতি তাতে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে বর্ষা ঢোকা তো দূরে থাক, বরং এমনই অসহ্য অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এমনকি পশ্চিমাঞ্চলের ৩টি জেলা বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরের কোথাও কোথাও তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে তারা।