উত্তরবঙ্গের ৫ জেলায় রবিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। এই পূর্বাভাস কার্যত উত্তরবঙ্গের জন্য মরার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মত। কারণ বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তরবঙ্গে টানা বৃষ্টি চলছে। বৃষ্টিতে নদীর জল ক্রমশ বেড়েছে। পাহাড়ে ধস নেমেছে। ফলে আটকে পড়েছে রাস্তা। বন্ধ হয়ে গেছে সড়কপথে যাতায়াত।
একই পরিস্থিতি রেল পরিষেবাতেও। বেশ কিছু রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। অন্যান্য রুটেও ট্রেন চলছে সন্তর্পণে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে অবশ্যই ৫ জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা বৃহস্পতিবারই চিন্তায় ফেলেছিল উত্তরবঙ্গবাসীকে। পূর্বাভাস মিলিয়ে বৃহস্পতিবারের পর থেকেই বৃষ্টির মাত্রা বাড়ায় আরও জটিল আকার নিয়েছে উত্তরবঙ্গ।
দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার। এই ৫ জেলায় প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে অনেক জায়গায় জল ঢুকতে শুরু করেছে। তিস্তা সহ অন্যান্য নদীতে জলস্তর বেড়েই চলেছে। প্রতিটি নদীই ভয়ংকর ভাবে ফুঁসছে। প্রবল গতিতে জলের স্রোত বইছে। অনেক জায়গায় তীর ছাপিয়ে জল ঢুকতে শুরু করেছে জনবসতিতে। জলপাইগুড়ির বেশ কিছু এলাকা থেকে মানুষজনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অনেকগুলি গ্রামে জল ঢুকে গেছে। আরও বাড়ছে জল। ফলে প্রশাসন সতর্ক রয়েছে।
বৃষ্টির জেরে পাহাড়ি রাস্তায় ধস নতুন কিছু নয়। উত্তরবঙ্গের অনেক রাস্তায় ধস নেমে রাস্তা বন্ধ। বৃহস্পতিবারই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল শিলিগুড়ির সঙ্গে গ্যাংটকের রাস্তা। অনেক জায়গায় পর্যটকরা বিপদে পড়েছেন। কারণ রাস্তা বন্ধ। গাড়ি নিয়ে মাঝ রাস্তায় অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাঁদের। এদিকে প্রাকৃতিক পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল আকার নিচ্ছে। রাস্তা ঠিক কখন সাফ হয়ে যান চলাচল শুরু হবে তাও পরিস্কার নয়। এক জায়গা পরিস্কার করলেই যে অন্য জায়গায় ধস নামবে না তারও কোনও গ্যারান্টি নেই। ফলে দূর দূরান্ত থেকে উত্তরবঙ্গে বা এখান থেকে সিকিমে বেড়াতে যাওয়ার জন্য মানুষজন ঠায় অনেক জায়গায় অপেক্ষা করতে বাধ্য হচ্ছেন। বৃষ্টি যদি এখনই না থামে তবে ক্রমশ উত্তরবঙ্গ বন্যার দিকে এগোচ্ছে বলাই যায়।