এখনই কংগ্রেসের সভাপতি পদে বসতে পারছেন না রাহুল গান্ধী। সোমবার কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকেই রাহুল গান্ধীর কংগ্রেসের সভাপতি পদ পাওয়া নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে বলে কানাঘুষো চলছিল। কিন্তু সেই নির্বাচন আরও প্রায় ১ বছর পিছিয়ে গেল। রাজনৈতিক মহলের ধারণা ২০১৯-কে সামনে রেখে এখনই রাহুল গান্ধীকে কংগ্রেসের সভাপতি পদে বসানোর ঝুঁকি নিতে চাইছে না কংগ্রেসের একাংশ। বরং সামনে হতে চলা উত্তরপ্রদেশ, গোয়া, মণিপুর, উত্তরাখণ্ড ও পঞ্জাবের ভোটে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্ব কংগ্রেসের জন্য কতটা সুদিন বয়ে আনে বা আদৌ আনতে পারে কিনা তার অ্যাসিড টেস্ট সেরে রাখতে চাইছেন কংগ্রেসের পোড় খাওয়া নেতারা।
এদিন কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না খোদ কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। অসুস্থতার কারণে তিনি আসতে পারেননি। সহ-সভাপতি হিসাবে বলতে শুরু করে এদিনও মোদী সরকারকে তুলোধোনা করেছেন রাহুল গান্ধী। দেশে গণতন্ত্রের নামে প্রহসন চলছে বলে দাবি করেন তিনি। ভারতে এখন অন্ধকার রাজত্ব চলছে বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। পাঠানকোটের খবর সম্প্রচার করতে গিয়ে দেশের গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগে এনডিটিভি ইন্ডিয়ার ওপর একদিনের জন্য সম্প্রচার বন্ধের ফতোয়া নিয়েও এদিন মুখ খোলেন রাহুল। তাঁর দাবি, এভাবে সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধের চেষ্টা দেশের মৌলিক অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ।