দলে কিছু নিয়ম রয়েছে। সভাপতি পদে কাউকে অধিষ্ঠিত করারও নিয়ম আছে। সেই নিয়ম মেনেই এগোতে হয়। এসব গেরো না থাকলে সোমবারই রাহুল গান্ধীকে কংগ্রেসের সভাপতি হিসাবে বেছে নিত কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি। এদিন কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি বসেছিল দলের পরবর্তী সভাপতি নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে। সেখানে সর্বসম্মতভাবেই রাহুল গান্ধীকে বেছে নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে দলের তরফে জানানো হয়েছে, কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হবে আগামী ১ ডিসেম্বর। ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়ন পেশ করতে হবে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ১১ ডিসেম্বর। ভোট ১৬ ডিসেম্বর। ফলাফল ১৯ ডিসেম্বর। কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, যদি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে সভাপতি পদের ভোটে কেউ লড়তে চান তবে ভোট হবে। ফল প্রকাশ হবে ১৯ ডিসেম্বর। তারপর রাহুল গান্ধী জিতলে সভাপতি হবেন। আর কেউ যদি তাঁর বিরুদ্ধে সভাপতি পদে মনোনয়ন পেশ না করেন, তবে আগামী ৫ ডিসেম্বর মনোনয়ন খতিয়ে দেখার পর রাহুল গান্ধীকেই আনুষ্ঠানিকভাবে সভাপতি ঘোষণা করবে দল।
তবে এসবই নিয়মের কথা। যা পরিস্থিতি তাতে রাহুল গান্ধীর আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসের সভাপতি হওয়া এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। এর আগে রাহুল গান্ধী প্রকাশ্যেই কংগ্রেসের সভাপতি হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। ছেলের হাতে ব্যাটন তুলে দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন মা সনিয়াও। বর্তমান কংগ্রেস সভানেত্রীর বিশ্বাস রাহুল গান্ধী সভাপতি হলে দলের শক্তি আরও বৃদ্ধি পাবে।