যা হওয়ার ছিল তাই হল। মাঝে কেবল কিছু নিয়ম মানল তাঁর দল। এদিন ছিল কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন। দলের মুখ্য কার্যালয় দিল্লির ২৪ নম্বর আকবর রোডে গিয়ে এদিন নিয়ম মেনে মনোনয়ন দাখিল করেন রাহুল গান্ধী। হাজির ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং সহ দলীয় নেতৃত্ব। মনোনয়ন দাখিল করতে এসে দলের বর্ষীয়ান নেত্রী তথা দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতকে জড়িয়ে ধরেন সনিয়াপুত্র। রাহুল গান্ধী মনোনয়ন দাখিল করলেও আর কেউ আগে বা পরে মনোনয়ন দাখিল করেননি। ফলে এই পদ নিয়ে আর ভোটাভুটির অবকাশ রইল না। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কংগ্রেস প্রেসিডেন্টের ব্যাটন মা সনিয়া গান্ধীর হাত থেকে চলে এল দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে প্রায় ৫ বছর কাটানো রাহুল গান্ধীর হাতে। তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও বাকি। যদিও সেটা নিয়মমাত্র।
বিজেপি বারবার নেহেরু পরিবারের বংশ পরম্পরার রাজনীতির কথা তুলে খোঁচা দিয়ে থাকে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাহুল গান্ধীকে সরাসরি প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে দিলে বিজেপির হাতই শক্ত করা হত। কটাক্ষের ঝাঁঝ আরও বাড়ত। তাই ভোটাভুটির মত গণতান্ত্রিক পথে হাঁটল কংগ্রেস। তাতে আগামী দিনে রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস সভাপতি হওয়া নিয়ে বিজেপি কটাক্ষ করতে এলে পাল্টা যুক্তি হাতে রইল কংগ্রেসের।