রাজ্যসভায় প্রার্থী দেওয়াকে কেন্দ্র করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই পশ্চিমবঙ্গে বাম কংগ্রেস ভাঙন সামনে এসে পড়ল। কংগ্রেস বা বামেরা যে কেউ প্রার্থী দিলে অন্যদলের বিধায়কদের সমর্থনে তিনি এই রাজ্য থেকে পঞ্চম প্রার্থী হিসাবে রাজ্যসভায় পৌঁছে যেতেই পারতেন। কিন্তু সেই সমঝোতায় পৌঁছতে পারেনি দুই দল। পরে কংগ্রেস হাইকমান্ড জানিয়ে দেয় তারা নিজেদের মতই প্রার্থী দিবে। সেইমত এদিন পশ্চিমবঙ্গ থেকে অভিষেক মনু সিংভিকে তাদের প্রার্থী করে কংগ্রেস। আর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন তাঁরা কংগ্রেস প্রার্থীকে সমর্থন দেবেন।
রাজ্যসভায় একজন প্রার্থীর জন্য এ রাজ্য থেকে ৪৯টি বিধায়কের ভোট দরকার। তাতে হিসাবে দাঁড়াচ্ছে তৃণমূল ৪ প্রার্থীকে রাজ্যসভায় পৌঁছে দেওয়ার পরও তাদের হাতে প্রায় ১৭টি বিধায়কের ভোট পড়ে থাকছে। যা দিয়ে তারা একা কোনও প্রার্থীকে রাজ্যসভায় পাঠাতে পারবেনা ঠিকই, কিন্তু কংগ্রেসকে সমর্থন দিলে সহজেই কংগ্রেস প্রার্থী রাজ্যসভায় পৌঁছে যাবেন। সেইমত অভিষেক মনু সিংভির রাজ্যসভায় পৌঁছনো নিশ্চিত হয়ে গেল।
এখানে অবশ্য রাজনৈতিক মহলের একাংশ অন্য অঙ্ক দেখছেন। তাঁদের প্রশ্ন, এটা কী তবে আগে ঠিক করে তবেই কংগ্রেস নিজেদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে? তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে কংগ্রেস কথা আগেই বলে তবেই নাম ঘোষণা করল? আর তাই কী তার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁকে সমর্থনের কথা জানিয়ে দিয়েছেন খোদ তৃণমূল নেত্রী? সেক্ষেত্রে বামেদের গুরুত্ব দেওয়ার দরকার কংগ্রেস নেতৃত্বের পড়লনা। আবার আগামী দিনে কংগ্রেস-তৃণমূল কাছাকাছি আসার রাস্তাও পরিস্কার হল। মাঝখান থেকে অনেকটাই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ল বামেরা।