২১শে-র মঞ্চে তখনও তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসে পৌঁছননি। তার আগেই তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘোষণা বেকায়দায় ফেলে দিল বাম-কংগ্রেসকে। পার্থবাবু ঘোষণা করেন মালদার গাজোলের সিপিএম বিধায়ক দীপালী বিশ্বাস ও বিষ্ণুপুরের কংগ্রেস বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্য যোগ দিলেন তৃণমূলে।
বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের জয়জয়কারেও বড় কাঁটা হয়ে ছিল মালদা। যেখানে একটা সিটও তৃণমূল কব্জা করতে পারেনি। সেই জেলার এক সিপিএম বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় তৃণমূল সামান্য হলেও জেলায় পায়ের তলার মাটি খুঁজে পেল।
অন্যদিকে একেই মাত্র ৩২টি বিধায়ক নিয়ে বিধানসভায় হাঁড়ির হাল বামফ্রন্টের। সেখান থেকে আরও ১ জন বিধায়ক বাদ যাওয়া অবশ্যই তাদের জন্য বড় ধাক্কা। অন্যদিকে কংগ্রেস প্রধান বিরোধী দল হলেও মানস ভুঁইয়ার পিএসির চেয়ারম্যান পদ গ্রহণকে কেন্দ্র করে ক্রমশ কংগ্রেসের অন্তর্কলহ প্রকাশ্যে আসছিল। সেই সমস্যার মাঝেই কংগ্রেসকে বড় ধাক্কা দিলেন বিষ্ণুপুরের কংগ্রেস বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্য। এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে যোগ দিলেন তিনি।
বিতর্ক আরও উস্কে প্রকাশ্যে জানিয়ে দিলেন মানস ভুঁইয়াও নাকি দল ছাড়তে প্রস্তুত। এখানেই শেষ নয়, এদিন উত্তর দিনাজপুরে দীপা দাশমুন্সির খাসতালুকেও থাবা বসিয়েছে তৃণমূল। তাও আবার কংগ্রেসেরই পুর প্রতিনিধিদের কাঁধে ভর করে। এদিন ২১শে-র মঞ্চে কংগ্রেসে যোগ দেন কালিয়াগঞ্জ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সহ ৭ কাউন্সিলর। ফলে এই পুর বোর্ডেও এখন তৃণমূলের রমরমা।