সবুজ তুফানে ফিকে বাকি রং, শিলিগুড়িতে বড় ধাক্কা বামেদের, নম্রতার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
রাজ্যে সবুজ তুফান অব্যাহত। কলকাতা পুরসভার পর এবার ৪ পুরনিগমেও একক দাপট অক্ষুণ্ণ রাখল তৃণমূল কংগ্রেস। শিলিগুড়িতে বড় ধাক্কা খেল বামেরা।
শিলিগুড়িও বামেদের হাতছাড়া হয়ে গেল। গত ২৭ বছর বামেদের দখলে থাকা এই পুরনিগম যে হাতছাড়া হতে পারে এমন একটা কানাঘুষো শোনাই যাচ্ছিল। সেটাই বাস্তব হয়ে সামনে এল।
এমনিতেই রাজ্য রাজনীতিতে ফিকে হতে হতে প্রায় হারাতে বসেছে রক্তিম দর্প। বিধানসভায় একটিও আসন না পাওয়া বামেদের হাতে থাকা শিলিগুড়ি পুরনিগমও এবার হাত ছাড়া হয়ে গেল।
হেরে গেলেন শিলিগুড়ির একছত্র বাম নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪৭টির মধ্যে ৩৭টিই দখলে রেখেছে তৃণমূল। ৩ নম্বরে নেমে গেছে বামেরা।
রাজ্যের ৪ পুরনিগমে তৃণমূল ঝড়ের সম্ভাবনা যে রয়েছে তা বিশেষজ্ঞ না হলেও আমজনতা বলে দিচ্ছিলেন। সোমবার সকাল থেকে ভোটের ফল বার হতে শুরু করে।
শুরু থেকেই তৃণমূল ঝড় প্রকট হতে থাকে। ৪ পুরনিগমেই একতরফা জয় আসছিল একের পর এক ওয়ার্ডে। কার্যত বিরোধীরা কোনও দাপটই দেখানোর সুযোগ পায়নি। হাতে গোনা ২-৪টি ওয়ার্ড জিতেই খুশি থাকতে হয়েছে বিরোধীদের।
বিধাননগরে ৪১টি আসনের মধ্যে ৩৯টিতেই সবুজ আবিরের ছড়াছড়ি। আসানসোলে ১০৬টি আসনের মধ্যে ৯০-এর ওপর তৃণমূলের দখলে গেছে। চন্দননগরে ৩৩টি আসনের মধ্যে ১টি আসনে ভোট হয়নি। বাকি ৩২টির ৩১টিতেই তৃণমূল।
কার্যত বিরোধীশূন্য ছবি উঠে এসেছে সর্বত্র। দলের এই ঝোড়ো জয়ের পর মুখ্যমন্ত্রী মানুষকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি দলের নেতা কর্মীদের একটি বার্তা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন যত বেশি জয় তত বেশ নম্র হতে হবে সকলকে। কাজ করতে হবে মানুষের জন্য।