রোজভ্যালি কাণ্ডে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পরই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন বুধবার থেকে এর বিরুদ্ধে পথে নামবে তৃণমূল। রাজ্যজুড়ে আন্দোলন হবে। সেইমত এদিন সকাল থেকেই শুরু হয়ে গেল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রেল থেকে সড়ক অবরোধ। যার জেরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বেলায় গোলপার্কে মিছিল বার করে তৃণমূল। বিক্ষোভ মিছিল বার হয় ভবানীপুরেও। গিরিশপার্কেও সঞ্জয় বক্সি সহ উত্তর কলকাতার তামাম তৃণমূল নেতার নেতৃত্বে বিশাল মিছিল বার হয়। পথ অবরোধ হয় শ্যামবাজারেও। অবরোধের কবলে পড়ে কাঁকুড়গাছিও। সেখানে বিধায়ক পরেশ পালের নেতৃত্বে রেল অবরোধ করা হয়। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন প্রান্তে দফায় দফায় পথ অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। এদিকে সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে বিধায়ক সুজিত বসুর নেতৃত্বে তৃণমূলের বহু কর্মী সমর্থক জমা হয়ে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভের জেরে সিজিও কমপ্লেক্সের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। অবরোধ, বিক্ষোভ হয় রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তেও। উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড়ে বিটি রোড অবরোধ করেন তৃণমূল কর্মীরা। বেশ কিছুক্ষণ চলে অবরোধ। রেল অবরোধ করা হয় অলিপুরদুয়ারেও। ক্যানিংয়ের ১ নং ব্লকে তৃণমূলের বিশাল মিছিল বার হয়। এদিকে ক্যানিং ও আসানসোলে বিজেপি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও তৃণমূলের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এমনকি অভিযোগ আসানসোলে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র বাড়িতে ঢোকার চেষ্টাও করেন তৃণমূল সমর্থকেরা। পুলিশ আটকানোর চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি হয়।