বুধবারও দিনভর দিল্লিতে নোট বাতিলের প্রতিবাদে সরব রইলেন তৃণমূল সাংসদরা। তাঁদের নেতাদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা। এদিন সকালে মিছিল করে মোদী বিরোধী স্লোগান দিতে দিতে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে যান তৃণমূল সাংসদরা। রাষ্ট্রপতির কাছে ৬ পাতার একটি স্মারকলিপিও তুলে দেন তাঁরা। পরে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন দাবি করেন, দেশ জুড়ে অতি জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে। নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে সোচ্চার হন তাঁরা। এদিকে কলকাতায় এদিনই ছিল নোট বাতিল ও তাঁদের দলীয় নেতাদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার হচ্ছে বলে দাবি করে বিক্ষোভ কর্মসূচির শেষ দিন। এদিন সকাল থেকেই সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে বিক্ষোভ মঞ্চে হাজির ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বিধায়ক সুজিত বসু সহ তৃণমূলের স্থানীয় নেতা কর্মীরা। অন্যদিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে এদিন সকাল থেকেই ছিল তৃণমূল নেতৃত্বের আনাগোনা। সন্ধেবেলা হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ফের একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ও তাঁর দলের নেতাদের গ্রেফতারি নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী এদিন প্রশ্ন করেন, কী করেছে সুদীপ, কী করেছে মুকুল, কী করেছে শুভেন্দু, ফিরহাদ? তাঁর দাবি, নোট বাতিলের প্রতিবাদ করাতেই সিবিআই দিয়ে প্রতিশোধের রাজনীতি শুরু করেছে কেন্দ্র। সিবিআইকে এদিন ফের কন্সপিরেসি ব্যুরো অফ ইন্ডিয়া বলে ব্যঙ্গ করেন মমতা। পাশাপাশি তাঁকে বিমান দুর্ঘটনায় খুন করার পরিকল্পনাও কেন্দ্র করেছিল বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর দাবি, অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন তিনি। বিজেপি যে কোনও কিছু করতে পার বলেও এদিন আশঙ্কা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলেই যুক্তিহীন সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে বলেও এদিন মঞ্চ থেকে দাবি করেন মমতা।