পূজালি পুরবোর্ড তৃণমূলের হাতে ছিল। এবার ভোটের পরও তা তৃণমূলেরই রয়ে গেছে। মোট ১৬টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের দখলে গিয়েছিল ১২টি আসন। ১টি বাম-কংগ্রেস জোটের ঝুলিতে, ২টি বিজেপির ঝুলিতে আর ১টি গিয়েছিল নির্দলের ঝুলিতে। এই অবস্থায় পূজালির দ্বিতীয় বৃহত্তম দলের তকমা পেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু সে সুখ বেশি দিন সইল না। শুক্রবার পূজালির ৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নবনির্বাচিত বিজেপি কাউন্সিলর রুম্পা ঘরুই দল বদলে যোগ দিলেন তৃণমূলে। ফলে পূজালিতে তৃণমূলের হাতে চলে গেল ১৩টি আসন। বিজেপি নেমে এল ১টিতে। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটের দিন ইভিএম ভাঙচুর সহ অশান্তির পর ফের সেখানে ভোটগ্রহণ করা হয়। ভোটে জেতেন রুম্পা ঘড়ুই। এরপর গত বৃহস্পতিবার রুম্পা ঘড়ুইকে পাশে বসিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সম্বর্ধিত করেন রুম্পা ঘড়ুইকে। সেই সম্বর্ধনার পর ২৪ ঘণ্টাও কাটল না। তার আগেই এদিন স্থানীয় তৃণমূল পার্টি অফিসে তৃণমূলের দলীয় পতাকা হাতে তুলে নিলেন রুম্পা ঘড়ুই। তাঁর এই দলবদল যে বিজেপির জন্য বড় একটা সুখের হল না তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অমিত শাহকে বাড়িতে পাত পেড়ে খাইয়ে এক সপ্তাহের মধ্যেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন নকশালবাড়ির মাহালী দম্পতি। এবার বিজেপির টিকিটে ভোটে জেতার ২ দিনের মাথায় তৃণমূলে যোগ দিলেন রুম্পা ঘড়ুই।