
অধীর চৌধুরীর খাসতালুকে বড় ধরণের ভাঙন ধরাল তৃণমূল। মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের কার্যত দখল নিল তারা। তবে খাতায় কলমে সিলমোহর আদায়ের হবে ইদের পর। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের ৭০টি আসনের মধ্যে মাত্র ১টি পেয়েছিল তৃণমূল। দাপটের সঙ্গে জেলা পরিষদ দখলে রেখেছিল কংগ্রেস। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাশা উল্টোতে থাকে। বিধানসভা নির্বাচনের পর ২৯ জন কংগ্রেস ও বাম সদস্য একে একে নাম লেখান তৃণমূলে। ফলে কিছুদিন আগে সেই অঙ্ক ৩০-এ গিয়ে ঠেকে। ম্যাজিক অঙ্ক ছুঁতে তখনও দরকার ছিল কমপক্ষে ৫টি আসন। আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী সেদিনই দাবি করেন, সময়ের অপেক্ষা। মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ তাঁদেরই দখলে আসছে। শুক্রবার তাঁর সেই দাবি বাস্তবের রূপ নিল। এদিন ১০ জন জেলা পরিষদ সদস্য তৃণমূলে যোগ দিলেন। যারমধ্যে কংগ্রেসের ৭ জন, ২ জন সিপিএমের ও ১ জন আরএসপির। ফলে এখন মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদে তৃণমূলের আসন সংখ্যা দাঁড়াল ৪০-এ। যা ম্যাজিক ফিগারের চেয়ে অনেক উপরে। ইদের পরেই জেলা পরিষদে অনাস্থা আনতে চলেছে তৃণমূল। সেখানেই জেলা পরিষদ খাতায় কলমে তাদের হাতে চলে আসবে। সিপিএমের দাবি, তৃণমূল ভয় দেখিয়ে এসব করছে। যা গণতন্ত্রের পক্ষে ভয়াবহ পরিবেশ সৃষ্টি করছে। অন্যদিকে কংগ্রেস তৃণমূলকে বর্গীদের সঙ্গে তুলনা করেছে।