রাজ্যের ১০টি জেলায় জেলা পরিষদে তৃণমূল খাতাই খুলতে দিল না অন্য দলকে। যতগুলি জেলা পরিষদ আসন। সবকটিতেই জয়ী হয়েছে ঘাসফুল। এই ১০টি জেলার মধ্যে ৮টিই দক্ষিণবঙ্গের। ২টি উত্তরবঙ্গের। দক্ষিণবঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের ৫৩টির মধ্যে ৫৩টি, পশ্চিম মেদিনীপুরের ৫১টির মধ্যে ৫১টি, বাঁকুড়ার ১৫টির মধ্যে ১৫টি, পূর্ব বর্ধমানের ৪১টির মধ্যে ৪১টি, পশ্চিম বর্ধমানের ১৬টির মধ্যে ১৬টি, হুগলির ৩৭টির মধ্যে ৩৭টি, উত্তর ২৪ পরগনার ৪৮টির মধ্যে ৪৮টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৫৩টির মধ্যে ৫৩টি জেলা পরিষদ আসনই গেছে তৃণমূলের দখলে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুরের ১৮টির মধ্যে ১৮টি এবং জলপাইগুড়ির ১৯টির মধ্যে ১৯টি জেলা পরিষদ আসনই গেছে তৃণমূলের ঝুলিতে।
এই ১০ জেলা বাদ দিলে বাদবাকি জেলার সামান্য আসনই হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। তবে বিজেপি কিছুটা হলেও ভাল ফল করেছে মালদহ, ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়ায়। মালদহে তৃণমূলের ঝুলিতে জেলা পরিষদের ২৯টি আসন গেলেও বিজেপি জিতে নিয়েছে ৬টি। অন্যদিকে ঝাড়গ্রামে ১৩টি তৃণমূলের দখলে থাকলেও ৩টি কেড়ে নিয়েছে বিজেপি। ঘাসফুলকে পদ্মকাঁটা সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে পুরুলিয়ায়। পুরুলিয়ার জেলা পরিষদের ৩৮টি আসনের মধ্যে ২৫টি তৃণমূলের ঝুলিতে গেলেও ১০টি গেছে বিজেপির ঝুলিতে। ৩টি দখল করেছে কংগ্রেস। যা তাঁরা তাঁদের শক্ত ঘাঁটির জেলাগুলি থেকেও পেতে পারেনি।
এর বাইরে কোচবিহারে ৩২টির মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ৩১টি। ১টি গেছে নির্দলের কাছে। আলিপুরদুয়ারে জেলা পরিষদের ১৮টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ১৭টি। বিজেপি ১টি। হাওড়ায় ৪০টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ৩৯টিতে জয়ী হয়েছে। ১টি গেছে নির্দলের ঝুলিতে। নদিয়ার ৪৪টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের দখলে ৪২টি আসন। ২টি পেয়েছে বিজেপি।