রাত পোহালেই ধর্মতলা জমে উঠবে লাখো মানুষের ভিড়ে। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে প্রতি বছরই ২১ জুলাই শহিদ দিবস পালন করা হয়। তার উদ্যোগ শুরু হয়ে যায় কয়েকদিন আগে থেকেই। দূরদূরান্ত থেকে মানুষজন আগের দিন থেকেই শহরে হাজির হতে শুরু করেন। যেমন হচ্ছে শুক্রবার সকাল থেকেই। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা তো আছেই। এছাড়া দূর দূর থেকে অনেকে শনিবারের সভায় যোগ দিতে একদিন আগেই হাজির হয়েছেন কলকাতায়। সকাল থেকেই মানুষজনের আসা শুরু হয়ে গেছে। যা দিনভরই বজায় থাকবে। তৃণমূলের তরফে এঁদের থাকা, খাওয়ার বন্দোবস্তও করা হয়েছে। সকাল থেকেই ভিড়ে জমে উঠেছে মিলনমেলা, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র, গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম। ব্যাগপত্র রেখে খেয়ে দেয়ে অনেকেই দুপুরের পর বেড়িয়ে পড়েন শহর পরিক্রমায়। অনেকে আবার দীর্ঘ সময় ধরে যাত্রার ক্লান্তি মুছে ফেলতে কিছুটা বিশ্রাম নেন।
এবার ২৫ বছর পূর্ণ করছে ২১শে জুলাই। রজত জয়ন্তী বর্ষ। এবার ভিড় আরও বেশি হবে বলেই মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। ফলে সুরক্ষায় থাকছে কড়া নজর। শনিবার কোনও অশান্তি এড়াতে শহর জুড়ে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। থাকছে আধুনিক সরঞ্জামকে কাজে লাগিয়ে নজরদারি।
এদিকে ২১শে জুলাইয়ের আগে মঞ্চ বাঁধার কাজ প্রায় শেষ। এদিন বিভিন্ন সময়ে তৃণমূল নেতারা এসে মঞ্চের কাজের তদারকি করে যান। মঞ্চের চারপাশেও পুলিশের কড়া নজরদারি থাকছে। শনিবার কাতারে কাতারে মানুষ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সকাল হতেই শুরু করবেন ধর্মতলায় আসা। গত বছর অনেকে দেরি করায় সভাস্থল পর্যন্ত পৌঁছেই উঠতে পারেননি। এবার আবার ভিড় আরও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ফলে শনিবারের শহর কার্যত সকাল থেকেই অচল হওয়া প্রায় নিশ্চিত।