শিলচর বিমানবন্দরেই তৃণমূলের প্রতিনিধিদলকে আটকে দিল অসম পুলিশ। অভিযোগ, বিমানবন্দরে আটকে দেওয়াই নয় তৃণমূল সাংসদ কাকলী ঘোষদস্তিদার, সাংসদ অর্পিতা ঘোষ, সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর, তৃণমূল বিধায়ক মহুয়া মৈত্র এবং তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়কে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়। যে ফুটেজ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে মহিলা পুলিশের সঙ্গে তৃণমূলের মহিলা প্রতিনিধিদের একটা ধস্তাধস্তি, টানাটানির পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এক জায়গায় মহুয়া মৈত্রকে পুলিশের হাত ছাড়িয়ে ছুটে পালাতেও দেখা গেছে।
অসমে নাগরিক পঞ্জী গঠন ও তালিকা থেকে ৪০ লক্ষ মানুষকে বাদ দেওয়াকে সামনে রেখে আগেই প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল। এদিন শিলচরে সেই বিষয়কে সামনে রেখে একটি নাগরিক কনভেনশনে যোগ দিতে যায় তৃণমূল সাংসদ, বিধায়কদের একটি ৮ সদস্যের প্রতিনিধিদল। কিন্তু দুপুর ২টো নাগাদ শিলচর বিমানবন্দরে পৌঁছনোর পর তাঁদের বিমানবন্দরেই আচকে দেয় পুলিশ। পুলিশের তরফে জানানো হয় বাইরে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় তাঁদের আটকানো হয়েছে। তৃণমূল প্রতিনিধিরা জানাতে থাকেন তাঁরা আইন মেনেই ২ জন করে আলাদা আলাদা করে গেস্ট হাউসে যাবেন। কোনও সভা তাঁরা করছেন না। তাই তাঁদের বার হতে দিতে হবে। কিন্তু পুলিশ নিজের অবস্থানে অনড় থাকে। এই অবস্থায় বিমানবন্দরেই অবস্থান শুরু করেন তৃণমূল সদস্যরা। এই অচলাবস্থা সন্ধের পরও বজায় ছিল।
(ছবি – সৌজন্যে – ট্যুইটার – এআইটিসি অফিসিয়াল)