গত বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো নাগাদ নাগরিক কনভেনশনে যোগ দিতে অসমের শিলচরে নামার পর থেকেই খবরের শিরোনামে ছিল তৃণমূলের ৮ সদস্যের প্রতিনিধিদল। তাদের বিমানবন্দরেই আটকে দেয় পুলিশ। জানিয়ে দেয় ১৪৪ ধারা থাকায় কোনওভাবেই তাদের বাইরে বের হতে দেওয়া হবে না। এদিকে তৃণমূলের ৬ সাংসদ, ১ মন্ত্রী ও ১ বিধায়কের প্রতিনিধিদলও অনড় অবস্থান নেয়। তারা বিমানবন্দর থেকে বাইরে বার হওয়ার চেষ্টা করলে তাদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। অভিযোগ, তৃণমূলের মহিলা সদস্যদের নিগ্রহ করে পুলিশ। হেনস্থার শিকার হন অন্যরাও। প্রতিবাদে বিমানবন্দরেই ধর্না শুরু করেন তৃণমূল প্রতিনিধিরা। সেখানে বসে পড়েন তাঁরা।
রাতে তাঁরা বিমানবন্দরেই কার্যত আটকা পড়ে থাকেন। বারবার বলা সত্ত্বেও তাঁদের বিমানবন্দর থেকে বার হতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে এদিন সকালে কলকাতার বিমান ধরে তাঁরা ফিরে আসেন। ক্ষুব্ধ তৃণমূল প্রতিনিধিদলের দাবি, তাঁদের সঙ্গে যা করা হয়েছে তা অগণতান্ত্রিক। তাঁদের আটকে রাখাকে অঘোষিত জরুরি অবস্থা বলে দাবি করেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। ক্ষোভ উগরে দেন ফিরহাদ হাকিম, সুখেন্দুশেখর রায়রাও।
শিলচর বিমানবন্দরে তৃণমূল প্রতিনিধিদলকে আটকে দেওয়া নিয়ে এদিন সংসদেও সরব হন তৃণমূল সাংসদরা। তাঁদের দাবি, বিমানবন্দরে তাঁদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়। তাঁদের পুলিশি নিগ্রহের শিকার হতে হয়।
(ছবি – সৌজন্যে – ট্যুইটার – এআইটিসি অফিসিয়াল)