বিজেপির প্রতিনিধিদল কেন্দ্র থেকে এসে ঘুরে গেছে এলাকায়। কংগ্রেস ও বাম প্রতিনিধিদলও ঘুরে গেছে ভাটপাড়া, কাঁকিনাড়ায়। শান্তির বার্তা নিয়ে হাজির হয়েছিলেন অপর্ণা সেন, কৌশিক সেনরাও। শুক্রবার সেখানে হাজির হল তৃণমূলের পরিষদীয় দল। দলে ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সুজিত বসু, পূর্ণেন্দু বসু, ব্রাত্য বসু, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সহ তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। তাঁরা শুক্রবার দুপুরে সেখানে হাজির হন। তারপর গাড়ি থেকে নেমে এলাকা পায়ে হেঁটে ঘুরে দেখেন।
তৃণমূল নেতৃত্ব যখন কাঁকিনাড়া, ভাটপাড়া এলাকায় হাজির হন তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা। ছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। যাতে কোনও অপ্রীতিকর অবস্থার সৃষ্টি না হয় সেজন্য সকাল থেকেই ছিল তৎপরতা। এদিন তৃণমূল নেতৃত্বকে দেখে বাড়ি থেকে বেরিয়ে অনেকেই ঘরের সামনে এসে দাঁড়ান। এলাকার মানুষ অনেক জায়গায় একজোট হয়ে দাঁড়ান। অনেকের সঙ্গেই কথা বলেন তৃণমূল নেতারা। তাঁদের অভাব অভিযোগ শোনেন। নিজে এগিয়ে গিয়েও মানুষকে আশ্বস্ত করতে দেখা যায় রাজ্যের মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে।
অনেকেই এদিন এলাকার অশান্ত পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন। অনেকে আবার তাঁদের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। প্রবল ভিড়ের মধ্যেও তৃণমূল নেতারা হাত জোর করে পৌঁছে যান অলিতে গতিতে। সকলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান। পরে ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা রাস্তায় এসে ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে কথা বলেন। তৃণমূল নেতা মন্ত্রীরা তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসেন। এটাও তৃণমূলের প্রতিনিধিদলের কর্মসূচির মধ্যেই ছিল। সেই আলোচনার সময় অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে ছবি তোলা থেকে বিরত রাখা হয়।
শুক্রবার এলাকা ঘুরে দেখার সময় বহু তৃণমূল কর্মী সমর্থক হাজির হন। স্লোগান দেন। এলাকা যে অশান্ত ছিল, মানুষের সমস্যা হয়েছে তা মেনে নেয় তৃণমূল নেতৃত্ব। চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে অবশ্য এলাকা অনেকটা শান্ত হয়েছে। স্বাভাবিক জীবনে ফিরছেন মানুষজন। দোকানপাট খুলেছে। স্কুলে পঠনপাঠন শুরু হয়েছে। মানুষ বাড়ি থেকে নির্ভয়ে বেরিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছেন। বাজারহাট করছেন।