কাঁচরাপাড়া পুরসভার ৮ জন তৃণমূল কাউন্সিলর বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে ফিরলেন শনিবার। তৃণমূল ভবনে তাঁদের ফের দলে বরণ করে নেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও। ফলে এদিনের পর কাঁচরাপাড়া পুরসভা ফের তৃণমূলের হাতে চলে এল। লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরে ২৪ আসন বিশিষ্ট কাঁচরাপাড়া পুরসভার ১৭ জন তৃণমূল কাউন্সিলর দিল্লিতে বিজেপি ভবনে হাজির হয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। ফলে কাঁচরাপাড়া পুরসভা বিজেপির দখলে চলে যায়।
কাঁচরাপাড়া পুরসভায় ২৪ আসনের মধ্যে তৃণমূলের ছিল ২২টি আসন। ১টি ছিল বিজেপির। ১টি নির্দলের। এরমধ্যে ১৭ জন তৃণমূল কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগ দেন। ৫ জন তৃণমূলে থেকে গিয়েছিলেন। গত সপ্তাহে ফিরহাদ হাকিমের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দেওয়া ৫ কাউন্সিলর ফের তৃণমূলে ফিরে আসেন। তাঁদের তৃণমূলে ফেরানোর পর কাউন্সিলরের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০। তখনও ম্যাজিক ফিগার থেকে দূরে ছিল তৃণমূল। এদিন আরও ৮ জন তৃণমূল কাউন্সিলর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। ১ নির্দল কাউন্সিলরও তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে সংখ্যাটা দাঁড়াল ১৯। ফলে কাঁচরাপাড়া পুরসভা ফের তৃণমূলের দখলে চলে এল।
একইভাবে হালিশহর পুরসভাও তৃণমূলের দখলে এসেছে। ২৩ আসনের হালিশহর পুরসভার ১২ জন বিজেপিতে যোগ দেওয়া কাউন্সিলর ফের তৃণমূলে ফিরেছেন। এদিন আরও ১ জন ফিরলেন। ফলে হালিশহরও তৃণমূলের ফের দখলে চলে এসেছে। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন এঁদের সকলকেই বিজেপি ভয় দেখিয়ে বিজেপিতে যোগদানে বাধ্য করেছিল। তিনি নাম না করে এদিন মুকুল রায়কেও কটাক্ষ করেছেন।
মুকুল রায়ের খাসতালুক হিসাবে পরিচিত কাঁচরাপাড়া পুরসভা ফের দখলে নিয়ে অভিষেকবাবু বলেন, তিনি নিজের এলাকার কাউন্সিলরদেরই রক্ষা করতে পারলেন না। সবই হয়েছে দিল্লিতে নিজের নম্বর বাড়ানোর জন্য। মুকুলবাবুকে বিজেপির চাণক্য তবে মেড ইন চায়না বলে কটাক্ষ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অবশ্যই রাজনৈতিকভাবে কাঁচরাপাড়া পুরসভার বিজেপিতে যোগ দেওয়া কাউন্সিলরদের ধরে রাখতে না পারাটা মুকুলবাবুর জন্য সুখের নয় বলে মেনে নিচ্ছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা।